আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো হত্যার রাজনীতি করে না। হত্যাকারীর দল হলো বিএনপি। বিএনপি নেতারা বিশ্বজনীন স্বীকৃত সত্যকে বিকৃত করে দেশে আজ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘কান্ডজ্ঞানহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত’ না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তারা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অবান্তর ও মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করছে। দেশবাসী জানে, তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হচ্ছে গুজব, মিথ্যাচার আর অপপ্রচার। যে দলের শীর্ষ নেতা ‘জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবে না’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন, সে দলের মহাসচিবের পক্ষেই এ ধরনের অবান্তর ও কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান করা সম্ভব। পলিটিক্যাল হিউমারের বিষয়বস্তুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার মতলব পরিহার করুন। রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত মিথ্যাচারের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমেরিকা-ইউরোপসহ পৃথিবীর উন্নত দেশে পারমাণবিক শক্তি আজ মানবিক কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ৩২টি দেশে ৪৩৮টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। পুরো পৃথিবীতে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতকরা ১০ ভাগ আসে পারমাণবিক শক্তি থেকে। ফ্রান্সে শতকরা ৭৫ ভাগ, যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ২০ ভাগ বিদ্যুৎ পারমাণবিক শক্তি থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। শূন্য কার্বন নিঃসরণের কারণে এটি সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন বিএনপির পছন্দ নয়। তাই তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আজ বিষোদগার করছে। কতটা সংকীর্ণ মানসিকতার হলে, বিএনপি মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতা এ ধরনের প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারেন।