শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
দুদক সচিব বললেন

পাচার অর্থসম্পদ উদ্ধারে সহযোগিতা করবে আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, পাচার হওয়া অর্থ এবং চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধারে সহযোগিতা করবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দুদক সচিব। মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন, মানি লন্ডারিংয়ের মহাপরিচালক মোকাম্মেলসহ চারজন উপস্থিত ছিলেন। মাহবুব হোসেন বলেন, দুদকের বর্তমান কাঠামো, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিদ্যমান দুদক আইন, বিধিবিধান মোতাবেক কীভাবে কাজ করছে এসব বিষয়ে তারা একটি ধারণা নিয়েছেন। এ ছাড়া পরিবর্তিত বিশ্বে অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) এবং চুরি হওয়া সম্পদ (স্টোলেন অ্যাসেট) আদায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, কীভাবে কো-অপারেশন সম্প্রসারিত করা যায় সে বিষয়ের ওপর তারা গুরুত্ব       আরোপ করেছেন।

রিজার্ভ সংরক্ষণে নতুন লক্ষ্যমাত্রার আভাস আইএমএফের : ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য আইএমএফের শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ জানায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল। তবে চেষ্টার পরও ব্যর্থ হওয়ায় ডিসেম্বর নাগাদ রিজার্ভের শর্ত শিথিল করার আভাস দিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমান, ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের, সাজেদুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

সূত্র জানান, আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার যেসব শর্ত দিয়েছিল, নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্তগুলো পর্যালোচনা করছে। সর্বশেষ বৈঠকে সংস্থাটি প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করেছে। রিজার্ভে প্রতিশ্রুত ডলার না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিনিধি দল। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, অভ্যন্তরীণ অবস্থা ইত্যাদি পর্যালোচনায় উঠে আসে। প্রতিশ্রুত রিজার্ভ সংরক্ষণে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বিষয়টি সফররত প্রতিনিধি দলও দেখেছে। এ অবস্থায় রিজার্ভ সংরক্ষণে নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দেয় সংস্থাটি। ২৫ বিলিয়ন ডলারের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা আগামী ডিসেম্বর ও মার্চের জন্য আরও কমতে পারে। সর্বশেষ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে অন্যান্য দায়দেনা বাদ দিলে রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের নিচে নেমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, আইএমএফকে প্রতিশ্রুত রিজার্ভের চেয়ে ৪ বিলিয়ন ডলার কম আছে। জুলাইয়ের জন্য প্রতিশ্রুতি ছিল ২৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

সর্বশেষ খবর