শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই

-------- মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক সংকটের সমাধান চাই। কোনো প্রকার বিদেশি হস্তক্ষেপ চাই না। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। ইসলামী দলগুলোর কার্যক্রম প্রসঙ্গে আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, ইসলামী দলগুলো নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠন গোছানোর কাজ করছে। একই সঙ্গে তারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন ইস্যু ও দাবি আদায়ে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করছে। ইসলামী ঐক্যজোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট স্বতন্ত্র পথে চলছে। সরকারি দল বা প্রধান বিরোধী পক্ষ বিএনপিসহ কোনো রাজনৈতিক দলের জোটে নেই। গত ১৬ জুলাই দলের জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। বর্তমানে ঢাকা মহানগর এবং বিভিন্ন জেলা ও থানা কমিটি গঠন চলছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনমুখী দল। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিন টার্মে এদেশের হক্কানি আলেমদের মধ্যে যারা সংসদে গিয়েছেন তারা ইসলামী ঐক্যজোটের ব্যানারেই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। সংকট নিরসন,  নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হলে দলের মজলিসে শুরা তখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইনশা আল্লাহ।

দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক সংকট, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূমিকম্প, বন্যা, খরাসহ নানান দুর্যোগ বাড়ছে। প্রবল বর্ষণে অনেক জেলায় বন্যায় অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, সার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের ওপর চাপ বিপুল বেড়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, দেশের মানুষ ভালো নেই। এ বিষয়ে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সমস্যা খুঁজে বের করে সঠিক সমাধান করতে হবে।

আলেমদের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইমানি আন্দোলনে যুগে যুগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা-কর্মীরা। ২০১১ ও ২০১৩ সালে এবং পরবর্তী সময়ে হওয়া বিচ্ছিন্ন মামলায় এখনো তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবিলম্বে ঐক্যজোট নেতা-কর্মীসহ আলেমদের হয়রানি, তাদের মামলা প্রত্যাহার এবং বন্দি আলেমদের মুক্তি দিতে হবে। ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকা কোরআনের বিধান, আল্লাহর আদেশ। তবে ঐক্যের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পন্থা আগে ঠিক করতে হবে। সেই লক্ষ্য ও পন্থাকে সামনে রেখে ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থিরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। বিচ্ছিন্ন থাকলে বিভেদ বাড়বে, জনগণের প্রত্যাশা দিন দিন কমবে।

সর্বশেষ খবর