শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

৩০০ আসনে প্রার্থী দেব

----- এম এ আউয়াল

৩০০ আসনে প্রার্থী দেব

১৫ দলীয় প্রগতিশীল ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫টি রাজনৈতিক দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তিনি বলেন, তারা ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এম এ আউয়াল বলেন, প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠনের আগে প্রায় দেড় বছর ধরে সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা এখন আর সংবিধানে নেই। সংবিধানে যে জিনিসটা নেই, সেটার অধীনে কীভাবে আবার নির্বাচন হবে? আমরা মনে করি, দেশের সংবিধানের মালিক দেশের জনগণ। সংবিধানই মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এই সংবিধানের আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে প্রগতিশীল ইসলামিক জোট অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করবে জানিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে আইন আছে, সেটি যদি তারা যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন, তাহলে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না, তারা তো স্বাধীন। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটা প্রয়োগ করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

এম এ আউয়াল বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো কোনো দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের জনগণ সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। বিশ্বে নির্বাচন বর্জন যেখানে বিরল, সেখানে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়ে নির্বাচন বর্জনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করারই নামান্তর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার ফায়দা লুটতে চায়। ইতোমধ্যে নানা বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে, যার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে নতুন করে আমাদের সামনে হাজির করেছে। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম এ আউয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। ন্যূনতম ছাড়ের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন কমিয়ে আনা দরকার। প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের স্বদেশ গড়তে হলে স্থায়ীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। আর এর প্রথম দায়িত্ব সরকারের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নতি, আর উন্নত জীবনের যে প্রগতি নির্মাণ করেছেন, সেই নির্মাণকে আরও শক্তিশালী উপায়ে এগিয়ে নিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনকল্পে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন, তার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে উন্নতির নতুন দিক-দর্শন উন্মোচিত হয়েছে।

আসন্ন দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের নাশকতা যেন না হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এম এ আউয়াল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উন্নীত বাংলাদেশে যেন আর একটিও সাম্প্রদায়িক ঘটনা না ঘটে, এ ব্যাপারে সরকারের প্রতি বিশেষত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গভীর মনোযোগ আশা করছি।

সর্বশেষ খবর