শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বছর শেষ হলেও শুরু হয়নি খাল সংস্কার

ডিএসসিসির ৮৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প - ৫৪ প্যাকেজের মধ্যে ৪টিতে টেন্ডার

হাসান ইমন

জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি খালের ২০ কিলোমিটার দখলমুক্ত ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গত বছরের ১১ অক্টোবর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। তিন বছর আট মাস মেয়াদি প্রকল্পটির এরই মধ্যে বছর পার হলেও দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি সংস্থাটি। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার খালকে ৫৪টি প্যাকেজে ভাগ করে ৪টিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসি।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। বর্তমানে ২৫টি প্যাকেজ টেন্ডার কার্যক্রম করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে বাকি প্যাকেজগুলোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চারটি খালের ২০ কিলোমিটার সংস্কারের কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে ৫৪টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ড্রয়িং ও ডিজাইনের কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। সিএস অনুযায়ী খালগুলো উদ্ধার করে সংস্কার করা হবে বলেও জানান  তিনি। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির মধ্যে চারটি খালের প্রায় ২০ কিলোমিটার দখলমুক্ত ও সংস্কার করা হবে। এসব খালের দুই পাশে নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে, পাশাপাশি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬২৯ কোটি টাকা এবং ডিএসসিসি নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় কালুনগরের ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার খাল উন্নয়নে ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা মোট প্রকল্পের ১০.৪৩ শতাংশ। ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার জিরানী খাল উন্নয়নে ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার মান্ডা খাল উন্নয়নে ২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে ও ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার শ্যামপুর খাল উন্নয়নে ১৭৭ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পে ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরে ৩২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। পরামর্শক খাতে ৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চারটি ডবল কেবিন পিকআপ কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- কালুনগর খালের ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার, জিরানী খাল ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার, মান্ডা খালের ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার এবং শ্যামপুর খালের ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার দখলমুক্ত ও সংস্কার। খাল উন্নয়নের অংশ হিসেবে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, পলি অপসারণ, ল্যান্ড স্কেপিং ও সবুজায়ন; নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে ৩৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী, ৩৬টি পদচারী সেতু, ১৯টি গাড়ি চলাচল সেতু, ১০টি পাবলিক টয়লেট, ৩২.৪৪ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, চারটি প্লাজা, বাইসাইকেল লেন স্থাপন ও ৭৭১টি নান্দনিক বাতি স্থাপন।

সর্বশেষ খবর