শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জোড়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার ছাত্রদল নেতা রিমান্ডে

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে জোড়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সকাল ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার। পরে বিকালে আদালতে উপস্থাপন করে সাত দিনের রিমান্ড চাইলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা সাদেকুর রহমানসহ জোড়া হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ। হত্যার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট তথা শাহাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেফতারের পর নাহিদকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নরসিংদী শহরের চিনিশপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাড়ির দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের বাথরুমের ফলস ছাদের পশ্চিম পাশে লুকানো অবস্থায় একটি বিদেশি  পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সূত্র যায়, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ছাত্রঐক্যের কনভেনশন চলাকালে নাহিদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আটক করা হয়। পরে তাকে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৭ সালেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে নাহিদকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। ৯ মাস গুম থাকার পর অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে। এদিকে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নাহিদকে গ্রেফতারের পর তৎক্ষণিক বিষয়টি প্রকাশ না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিয়ে অবিলম্বে তাকে প্রকাশ্যে উপস্থিত করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা সাদেকুর রহমান ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ছাত্রদলের ঘোষিত জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই সময় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে সাদেক ও পরে আশাফুল মারা যান। ওই ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদসহ বিএনপির ৩০ নেতার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করা হয়।

সর্বশেষ খবর