শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

অযোধ্যায় মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

অযোধ্যায় মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা

উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা জেলার ধন্যিপুর গ্রামে ৩০০ কোটিরও বেশি রুপি ব্যয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নামানুসারে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ তৈরি করা হবে। মসজিদবিষয়ক সর্বভারতীয় সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া রাবেতা-ই-মসজিদ’ ঘোষণা করেছে, মসজিদটির নাম  ‘মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ’। মসজিদটি নির্মাণ করবে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদের বিকল্প মসজিদ তৈরির জন্য জমি দেওয়ার যে নির্দেশ দেন, তা মেনে নিয়ে সরকার এই মসজিদের জন্য ধন্যিপুরে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করে। ওই রায়ে অযোধ্যায় রামমন্দির বানানোর জন্য ২ দশমিক ৭৭ একর জমি দিতে বলা হয়েছে। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর উগ্রবাদীদের হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া বাবরি মসজিদের বিকল্প হিসেবে নির্মিতব্য মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদের নকশা চূড়ান্ত করার জন্য ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে সহস্রাধিক ওলামা বৃহস্পতিবার মুম্বাই নগরীতে সমবেত হন। এই সম্মেলনের পরই নতুন মসজিদ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়। অযোধ্যা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে নির্মিতব্য মসজিদ কমপ্লেক্সে ব্যবহার্য ইটের প্রথম চালান ‘দান’ হিসেবে ওলামা সম্মেলনে পৌঁছানো হয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সে হাসপাতাল, রন্ধনশালা ও পাঠাগার থাকবে।

 মসজিদ প্রাঙ্গণ ঘিরে থাকবে পাঁচটি তোরণ। এসব তোরণের একটির নামকরণ মহানবীর নামে; অন্য চারটির নাম রাখা হবে ইসলামের মহান চার খলিফা- হজরত আবু বকর, হজরত ওমর, হজরত ওসমান ও হজরত আলীর নামে।

ওলামা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী উত্তর প্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকী জানান, প্রাচীন ইসলামী স্থাপত্য প্রভাবিত মসজিদের নকশার বাস্তবায়ন নির্ভুল হচ্ছে কি না তার দেখভাল করবেন পুণে নগরীর স্বনামখ্যাত স্থপতি ইমরান শেখ। নির্মাণ ব্যয়ের জন্য ৩০০ কোটিরও বেশি রুপির প্রয়োজন। জাফর ফারুকী বলেন, এই তহবিল সংগ্রহের জন্য একটা পদ্ধতি আমরা স্থির করেছি। আশা করি সংগ্রহ অভিযান সফল হবে। তহবিল সংগ্রহ হওয়া মাত্রই নির্মাণ শুরু হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর