সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক কারণেই খুন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক আধিপত্যের জেরে খুন হয়েছেন শাহ আলম (৩৫)। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল সকালে দারুসসালাম থানায় এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো. সৈয়দ আলী।

ওয়াকিবহালরা বলছেন, দীর্ঘদিনের জিইয়ে থাকা ইসলাম ও নাবিল গ্রুপের চরম বিরোধেরই ফসল শাহ আলম হত্যাকান্ড। শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারাও দ্বন্দ্বের বিষয়টি অবগত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালামে শাহ আলমকে পায়ে ও কোমরে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে সোহরাওয়ার্দী  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাহ আলম পরিবারের সঙ্গে দারুসসালামের লালকুঠি দ্বিতীয় কলোনির নূর ইসলামের বাসায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি সাভারের মোগড়াকান্দায়। দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ আলম হত্যার ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে। মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, নিহত শাহ আলম দারুসসালাম থানা এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। গত শনিবার বিমানবন্দর এলাকার কাওলায় আওয়ামী লীগের জনসভাস্থলে নাবিল খান গ্রুপ ও মোহাম্মদ ইসলাম গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শাহ আলম ছিলেন নাবিল গ্রুপের সদস্য। জনসভা শেষে দারুসসালামে ফেরার পর ইসলাম গ্রুপের লোকজন নাবিলের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। নাবিলের লোকজন রাতে থানায় অভিযোগ দিতে যায়। একপর্যায়ে নাবিল গ্রুপের সদস্য শাহ আলমকে সড়কে পেয়ে ইসলাম গ্রুপের লোকজন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এরপর গুরুতর অবস্থায় শাহ আলমকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মোহাম্মদ ইসলাম দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি। নাবিল সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলাম, শান্ত, শেখ সুমন, লিমন, শাওন, আফজাল হোসেন গোলাপ, এনামুল করিম খোকন, পাকিস্তানি আফজাল, শরিফুল ইসলাম রিজভি, জাহাঙ্গীর শেখ, রাসেল, দিপংকর, মো. রাজু, ইমরান হোসেন ওরফে ইতালি ইমরান এবং আরও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন পরিকল্পিতভাবে শাহ আলমের ওপর হামলা করে। মারধরের একপর্যায়ে ইসলাম, শান্ত, শেখ সুমন, লিমন, শাওন ও আফজাল হোসেন গোলাপ তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে নিহত শাহ আলমের বাম পায়ের ঊরুর পেছনে পাঁচটি ও ডান পায়ের ঊরুর পেছনে একটি কোপ দিলে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর