বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আজ নতুন কর্মসূচি দেবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ জনসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের টানা দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি। আজকের সমাবেশ থেকে দুর্গাপূজার পর ঢাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আর সেই মহাসমাবেশ থেকেই শুরু হবে আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি। আজ বেলা ২টায় দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠেয় জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপিসহ আশপাশের জেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী এতে অংশ নেবে।

দলীয় সূত্র জানায়, চলতি মাসের শেষাশেষি অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহাসমাবেশ থেকে ‘সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য’ শেষবারের মতো সরকারকে কড়া বার্তা দেওয়া হতে পারে। এক দফা মেনে নিতে আলটিমেটামও দেওয়া হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকেও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হতে পারে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চায় দলটি। এর মধ্যে দাবি না মানলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা চাই পূজার মধ্যে সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করবে, নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। অন্যথায় গণআন্দোলনের মধ্য দিয়েই পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সামনে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে। এর মধ্য দিয়েই জনগণের বিজয় অর্জিত হবে।

জানা যায়, সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শেষ ধাপের কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা কিংবা নাশকতার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দোষ চাপাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ এ জনসমাবেশে পুলিশ আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে।

সর্বশেষ খবর