শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আখের বাম্পার ফলন নীলফামারীতে

নীলফামারী প্রতিনিধি

আখের বাম্পার ফলন নীলফামারীতে

নীলফামারীতে এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি এবার তারা দামও পেয়েছেন ভালো। অল্প পুঁজি ও বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ করে এবার লাভবান হয়েছেন কৃষক। হাসি ফুটেছে আখচাষিদের মুখে। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষি বিশেষজ্ঞরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, নীলফামারীর মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। এ বছর জেলায় আখ চাষ বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে ১৫ একর বেশি জমিতে চাষ বেড়েছে আখের। এবার ১৭৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। আখের ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আখ চাষের পাশাপাশি কৃষক সাথী ফসলও চাষ করেছেন। এতে লাভবানও হচ্ছেন তারা।

সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের অনীল চন্দ্র বলেন, ‘এ বছর ২২ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আবার চাষাবাদের খরচও কম হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় এবার অন্তত ৫০-৬০ হাজার টাকায় আখ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। আখচাষি রতন চন্দ্র রায় বলেন, চলতি বছর ১৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। আখ চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। কিন্তু পরিশ্রমও একটু বেশি। সময় মতো ওষুধ দিতে না পারলে পচন রোগ বাড়ে। ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পেরেছি বলে ফলন ভালো হয়েছে। তিনি জানান, প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে খরচ পড়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ী গ্রামের ইয়াছিন আলী বলেন, এ বছর ৩২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। কীটনাশক ও শ্রমিকসহ ৩৫ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর অন্তত দেড় লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারব।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লোকমান আলম জানান, এ বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মোট ১১০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এ উপজেলার মাগুড়া সবুজপাড়া নদীরপাড় এলাকার কৃষক জাকারিয়া বলেন, আমি প্রায় ২ বিঘা জমিতে আখ চাষ করছি। শ্রমিকদের পাশাপাশি নিজেও আখ খেতে কাজ করেছি। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবার ভালো লাভ আসবে।

সর্বশেষ খবর