শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্কলারশিপে আইআইটি হায়দরাবাদে মিলছে উচ্চশিক্ষার সুযোগ

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি

জয়শ্রী ভাদুড়ী ও কাজী শাহেদ, হায়দরাবাদ থেকে

চাঁদপুরের আবুল হাসানাতের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন প্রকৌশলী হওয়ার। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) থেকে বিএসসি সম্পন্ন করে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় চোখ আটকে যায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) হায়দরাবাদের স্কলারশিপের বিজ্ঞপ্তিতে। আইইএলটিএস বা কোনোরকম আলাদা সনদ ছাড়াই শুধু অনলাইনে সাক্ষাৎকার দিয়ে মিলে যায় ভর্তির সুযোগ। হাসানাত বলেন, ‘আইআইটি হায়দরাবাদে পড়তে পারা আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’ প্রতি মাসে ৬০ হাজার রুপি স্কলারশিপ ছাড়াও বছরে গবেষণার জন্য পাচ্ছেন আলাদা ১ লাখ রুপি। হাসানাতের মতো বাংলাদেশ থেকে আসা আরেক শিক্ষার্থী উৎপল কুমার ঘোষের গল্পও কিছুটা এরকমই। প্রকৌশল, প্রযুক্তি ছাড়াও ৩০০-এর বেশি ফ্যাকাল্টিতে আইআইটি হায়দরাবাদে আছে পড়ার সুযোগ। গতকাল বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আইআইটি হায়দরাবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক বি এস মূর্তি। তিনি জানান, বর্তমানে সারা ভারতে তৃতীয় স্থানে থাকা এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন ৪ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী, যার মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১ হাজার ৭৬০, স্নাতকোত্তর ১ হাজার ২৮০ ও ডক্টরাল শিক্ষার্থী আছেন ১ হাজার ১৬০ জন। তিনি বলেন, ‘আইআইটি               হায়দরাবাদে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে সিজিপিএ ১০-এর মধ্যে ন্যূনতম ৮ থাকতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষার জন্য আসছেন। প্রকৌশল, প্রযুক্তি, স্থাপত্য, কলা, মনোবিজ্ঞান, সাইবার নিরাপত্তা, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), শিল্প-বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন আধুনিক বিষয়ে গবেষণা ও শিক্ষার সুযোগ রয়েছে এখানে। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আইআইটি হায়দরাবাদে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আগ্রহী হলে আমরা তাতে সার্বিক সহযোগিতা করব।’ আইআইটি হায়দরাবাদে স্কলারশিপে পড়তে আসা উৎপল কুমার ঘোষ জানান, এখানে উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি রয়েছে গবেষণার দারুণ সুযোগ। আইআইটি হায়দরাবাদের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর প্রায় ১০০ স্টার্ট আপ দাঁড় করান। যেমন উদাহরণ টেনে বলা যায়, আফগানিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ওয়ারেস আলি এ বছর নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তার উদ্ভাবিত ডিভাইসটি জানিয়ে দেবে অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন রোগীর পরবর্তী ৫ মিনিটের পালস রেট। এখন এই উদ্ভাবিত প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ চলছে। এ ডিভাইসটির সফলতা চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুলে দেবে এক নতুন দিগন্ত। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের সাঙ্গারেডি জেলায় কান্দি গ্রামে প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে সরকারি এ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ খবর