ঢাকার আশুলিয়ায় গার্মেন্টকর্মী রুনা আক্তার (২৬) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থেকে রাশেদ হোসেন (২৩) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল র্যাব-৪ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়ায় রনস্থল বটতলা নামে একটি এলাকায় টিনশেড ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। পরে ওই বাসা থেকে রুনা আক্তারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনার বাবা আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব-৪ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। পরে হত্যাকাে র হোতা রাশেদকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব বলছে, রুনা গার্মেন্টে চাকরি করার সুবাদে আশুলিয়ার বটতলা এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রাশেদ ও রুনা একই টিনশেড ভাড়া বাসায় আলাদা আলাদা রুমে থাকার সুবাদে ৩ মাস আগে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রুনা গত ১ মাস ধরে বিয়ের ব্যাপারে চাপ দিতে থাকলে রাশেদ কালক্ষেপণ করতে থাকে। গত ১৫ অক্টোবর রাতে রুনার সঙ্গে দেখা করার জন্য তার রুমে গেলে রাশেদকে বিয়ের ব্যাপারে পুনরায় চাপ দেওয়ায় উভয়ের মধ্যে বাগবিত া হয়। একপর্যায়ে রাশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে রুনাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরে রুনার ব্যবহৃত একটি ওড়না গলায় পেঁচিয়ে রুনার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পলিয়ে যান রাশেদ।