শিরোনাম
সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্সে এখন ৫ শতাংশ প্রণোদনা

২০ দিনে এলো ১২৬ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা এখন ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ডলার প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স আনতে ডলারের নতুন এই দর নির্ধারণ করেছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। নতুন            সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলারে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন, যেখানে আন্তব্যাংক বিনিময় হারে ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। গত শুক্রবার রাতে এবিবি ও বাফেদা এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেমিট্যান্স আনতে ব্যাংকগুলো চাইলে নিজস্ব তহবিল থেকে সর্বোচ্চ আরও আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিতে পারবে। সরকারের দেওয়া প্রণোদনা আগের মতোই থাকবে। আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিতে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বিনিময় হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে ডলারের সব দর আগের মতোই থাকবে। বাফেদা ও এবিবি গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্রয় পর্যায়ে ডলারের দর ১১০ টাকা এবং বিক্রয়ে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। ফলে সেবা খাতসহ সব ধরনের রপ্তানি আয়, বিদেশ থেকে আসা সব ধরনের আয় এবং আন্তব্যাংকে কেনা ডলারের দর ১১০ টাকা। রেমিট্যান্স আনতে এই দরের সঙ্গে সরকার আড়াই শতাংশ হিসেবে প্রণোদনা দিয়ে আসছে। তাতে রেমিট্যান্স পর্যায়ে ডলারের দর হয় ১১২ টাকা ৫০ পয়সার ওপরে। অন্যদিকে ডলার বিক্রিতে (আমদানি, আন্তব্যাংক, বিদেশে অর্থ প্রেরণ) ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। হুন্ডি কমাতে বিনিময় হার আরও বাজারমুখী করতে টাকার মান কমানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন প্রেক্ষাপটে হুন্ডি ও খোলাবাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রেমিট্যান্স আনতে বিনিময় হার বাড়ানো হলো।

অক্টোবরের ২০ দিনে রেমিট্যান্স ১২৬ কোটি ডলার : অক্টোবরের ২০ দিনে প্রবাসীরা ১২৫ কোটি ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, প্রবাসীরা দৈনিক গড়ে পাঠিয়েছেন ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে গড়ে প্রতিদিন পাঠিয়েছিল ৫ কোটি ৮ লাখ ৫২ হাজার ডলার। প্রতিবেদন বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।

সর্বশেষ খবর