মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা

তেঁতুলিয়ায় দৃষ্টির সীমানায় উঁকি দিতে শুরু করেছে পৃথিবীর অনন্য আশ্চর্য পর্বতমালা হিমালয়। এ এলাকার লাখো মানুষ ঘুম থেকে জেগে উঠেই এখন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাচ্ছে।

সারা দিনই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গ। মাঝে মাঝে সাদা মেঘের ভেলায় হারিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ভোরবেলা থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এটি যখন দেখা দেওয়া শুরু করে তখন থেকেই নানা রঙের খেলা শুরু হয়। প্রথমে সূর্যের আভা ছড়িয়ে পড়লে কাঞ্চনজঙ্ঘা হয়ে ওঠে লাল টকটকে। তারপর রং বদলাতে থাকে। কমলা, তারপর হলুদ, সাদা। শেষে হঠাৎই হারিয়ে যাচ্ছে। এভাবে লুকোচুরির খেলা চলছে সারা দিন। প্রসঙ্গত, কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় এবং হিমালয় পর্বতমালায় দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। এর উচ্চতা প্রায় ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট বা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার। এটি ভারতের সিকিম রাজ্যের সঙ্গে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত। কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে চারটি নদীর উৎপত্তি ঘটেছে। নদীগুলো বাংলাদেশেও প্রবাহিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ তেঁতুলিয়া ভ্রমণে এসে গতকাল জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। দুই দিন হলো এখানে এসেছি। দ্বিতীয় দিন অপ্রত্যাশিতভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে দেখলাম। সেটা অদ্ভুত। এত স্পষ্টভাবে এখানে এটা দেখা যায় তা ভাবতে পারিনি। যে কোনো সুন্দর জিনিস অপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হওয়া- যেমন কুঁড়ি থেকে পুষ্প ফোটে, সে রকম একটা সৌন্দর্যের অনুভূতি হয়েছে। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং তেঁতুলিয়ার সৌন্দর্য দেখতে এরই মধ্যে অসংখ্য পর্যটক ছুটে আসা শুরু করেছেন। তারা তেঁতুলিয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, পুলিশ কর্তৃপক্ষের ডাকবাংলো, জনস্বাস্থ্য বিভাগের রেস্ট হাউস, বনবিভাগের রেস্ট হাউসসহ সরকারি ডাকবাংলোগুলোতে রাতযাপন করছেন। বেসরকারিভাবেও গড়ে উঠেছে স্বপ্ন গেস্ট হাউস, কাজী ব্রাদার্স আবাসিক, দোয়েল হোটেল, মহানন্দা কটেজ, সীমান্তের পাড়, কাঠের বাড়ি, ধানসিঁড়ি, ফরমান হোটেল, স্কয়ার আবাসিক হোটেল, কাঞ্চনজঙ্ঘা আবাসিক। আবার অনেকে বাড়িতেও রাখছেন পর্যটকদের। সব মিলিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা ঘিরে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর