বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় ব্যবহার নতুন মারণাস্ত্র

এক দিনেই ৭০০ নিহত, প্রতিবাদ করে তোপের মুখে জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রতিদিন ডেস্ক

গাজায় ব্যবহার নতুন মারণাস্ত্র

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২৪ অক্টোবরের রাত। এই রাতে ইসরায়েলি বিমান থেকে বৃষ্টির মতো বোমা বর্ষণ করে ৭ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ব্যবহার করা হয়েছে নতুন ধরনের মারণাস্ত্র। এ নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন খোদ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও। এর ফলে তিনি এখন তোপের মুখে রয়েছেন। এরই মধ্যে ইসরায়েল তার পদত্যাগ দাবি করেছে। অন্যদিকে ইরান বলেছে, সব পশ্চিমা  দেশ এখন ইসরায়েলকে রক্ষায় মরিয়া। তারা যে কোনো মূল্যে বর্বর হানাদার শক্তিকে বাঁচাতে চাইছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, পার্স টুডে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলি বিমান থেকে অবিরাম বোমা বর্ষণে ৭০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ৩০৫। মন্ত্রণালয় জানায়, এই রাতটি ছিল ফিলিস্তিনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত ও ভয়াবহ দিন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে একরাতে এত মৃত্যু দেখেননি গাজার বাসিন্দারা। এর মধ্য দিয়ে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ জনে। নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৩৬০ জন শিশু। আর আহত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৭ জন। অপরদিকে হামাসের হামলায় নিজেদের ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। খবরে বলা হয়েছে, গাজায় হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েল কোনো বাছবিচার করছে না। অবিরাম বোমাবর্ষণে নিমেষে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে গাজার সব ধরনের স্থাপনা, যার মধ্যে হাসপাতাল, গির্জা, মসজিদ ও স্কুলও আছে। গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ ছাড়া, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও চলছে হামলা। অধিকৃত পশ্চিম তীরে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালায় ইসরায়েল। এতে জেনিনে তিন ও কালকিয়ায় এক ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ২৪ অক্টোবর গাজার ৪০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর বিষয়টি ইসরায়েলও নিশ্চিত করেছে। গাজায় অবস্থানরত এক সংবাদকর্মী ইয়োমনা এলসায়েদ বলেন, ‘রাতের বোমা হামলায় হাজার হাজার পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে, চারদিকে কেবল ধ্বংস আর ধ্বংসের চিহ্ন। আকাশে শোনা গেছে ইসরায়েলের ড্রোন আর যুদ্ধবিমানের শব্দ। রাতের একটি হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে একটি চারতলা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া  লোকজন এ তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া গাজা শহরের বাহলোল পরিবারের একটি বাড়িতে হামলায় ১৯ জন নিহত হন। এ সময় ১২ জনেরও বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এদিকে বোমা হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েল গাজার খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জ্বালানি তেলের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের অভাবে ৪০টিরও  বেশি মেডিকেল সেন্টার তাদের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

এ হামলার ব্যাপারে গাজা শহরের আল শিফা হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলায় ইসরায়েল ‘নতুন ধরনের মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরায়েল এর আগে যত হামলা চালিয়েছে, সেগুলোতে আহত ব্যক্তিদের আঘাতের ধরনের সঙ্গে এবারের আঘাতের মিল নেই। ইসরায়েলের হামলায় আহত ব্যক্তিদের শরীরে এমন আঘাতের চিহ্ন আগে কখনো দেখা যায়নি।  সালমিয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় ইসরায়েল ‘নতুন মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করার কারণে আঘাতের ধরনও বদলে গেছে। এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, বর্তমানে গাজার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি হাসপাতাল এবং প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অথবা জ্বালানির অভাবের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১২টি এবং ৭২টি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের মধ্যে ৪৬টি বন্ধ হয়ে গেছে। হামলায় হাজারো আহত ব্যক্তির সঙ্গে ইসরায়েলি অবরোধের মুখে হাসপাতালের জীবন রক্ষাকারী সুবিধাগুলোও ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় এলাকাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং জীবনযাত্রা ভেঙে পড়েছে। অবরুদ্ধ ভূখন্ডে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনের উদ্বোধনীতে দেওয়া বক্তৃতায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি দাবি করে ইসরায়েলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন করছে। তিনি এই সংঘাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হামাসের এই হামলা যে একেবারে বিনা কারণে হয়নি সেটা স্বীকার করে নেওয়াও এখন গুরুত্বপূর্ণ। ফিলিস্তিনি জনগণ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার হয়ে রয়েছে।’ খবরে বলা হয়েছে, এ রকম মন্তব্য করে ইসরায়েলি রোষের মুখে পড়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। গুতেরেসের বক্তব্যকে ‘জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে তিনি লেখেন, তিনি ‘হামাসের হামলা বিনা কারণে হয়নি’ বলে বিবৃতি দিয়ে সন্ত্রাসবাদ ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক যে, হলোকাস্টের পরে যে সংস্থার জন্ম হয়েছে তার প্রধান এ ধরনের ভয়ংকর দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করছেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জন্য গুতেরেসকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গুতেরেসের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকও বাতিল করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন।

ইসরায়েলের হামলায় সিরিয়ার আট সেনা নিহত : ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার অন্তত আটজন সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে ইসরায়েলি শত্রুরা অধিকৃত গোলান মালভূমি থেকে বিমান হামলা চালায়। হামলায় সাত সৈন্য আহত হয়েছেন এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহত সৈন্যের সংখ্যা ১১ জন, যাদের মধ্যে চারজন কর্মকর্তাও রয়েছেন। হামলায় ‘অস্ত্র গুদাম ও সিরিয়ার একটি বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ধ্বংস হয়েছে’ এবং এ সময় একটি পদাতিক ইউনিটকেও লক্ষ্য বস্তু করা হয়েছিল।

নেতানিয়াহুর ছেলে আমেরিকায় : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ওপর সামরিক আগ্রাসন চালানোর জন্য ইসরায়েল যে ৩ লাখ সেনা তলব করেছে, তার মধ্যে নেই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়াইর। এতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, দেশকে ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে আমেরিকার ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যুদ্ধে যোগ না দিয়ে আমেরিকায় থেকে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড পরিচালনা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

ইসরায়েলকে রক্ষায় পশ্চিমারা মরিয়া : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ মানুষের ওপর দখলদার ইসরায়েল সরকারের অপরাধযজ্ঞে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘নিশ্চিত সহযোগী’র ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি। তিনি গতকাল তেহরানে ইরানের লোরেস্তান প্রদেশের ‘শহীদ স্মরণ কংগ্রেস’ সদস্যদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে আরও বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধযজ্ঞ কোনো না কোনোভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পরিচালনা করছে। দখলদার ইসরায়েলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতেই আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা একের পর এক তেল আবিব সফর করছে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জার্মান চ্যান্সেলর, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মতো জালিম ও কুচক্রী শাসকরা একের পর এক ইসরায়েল সফরে আসছেন। তাদের পড়িমড়ি করে এভাবে ছুটে আসার কারণ হচ্ছে, তারা প্রকৃতপক্ষে দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছে যে, ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা ইসরায়েলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে তেল আবিব সফর করছেন।’ তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের  কোনো ক্ষতি করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।’

ইসরায়েল সফর বাতিল করলেন এরদোগান : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ‘হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং তারা স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা; যারা নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য লড়াই করছেন।’ একই সঙ্গে  আসন্ন ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন এই তুর্কি নেতা। গতকাল আঙ্কারায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল একে পার্টির নেতা-কর্মীদের এক সমাবেশে এ কথা জানিয়েছেন এরদোগান। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন বলায় পশ্চিমাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এরদোগান বলেন, ‘ইসরায়েল হামাসকে পশ্চিমাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখতে পারে। পশ্চিমারা ইসরায়েলের কাছে অনেক ঋণী। কিন্তু তুরস্ক ইসরায়েলের কাছে  কোনো কিছুর জন্যই ঋণী নয়। হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। এটা মুজাহিদীনদের একটি সংগঠন, যারা নিজেদের ভূমিকে রক্ষা করছে।’

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘বাঁকা মন্তব্য’ : সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ফিলিস্তিনি ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নীরবতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ দৃশ্যত ‘সন্তুষ্ট’। একই সঙ্গে তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর রক্তপাত বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। গাজা যুদ্ধ নিয়ে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এ সময় স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদার সেনারা গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে যে সম্মিলিত বর্বরতা চালিয়ে আসছে তার অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উদ্বাস্তু করার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার কাছাকাছি নিয়ে যাবে না।’

সর্বশেষ খবর