কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিরা হলেন মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীর। এ ছাড়া ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে। অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ (ধারা ৩০৪-ক) এনে গতকাল ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন দুর্ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই বিল্লাল মিয়া। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নজরুল ইসলামকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। তিনি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার সররাবাদ গ্রামের দর্শন মিয়ার ছেলে। পরিবারসহ ভৈরব পৌরশহরের আমলাপাড়ায় থাকতেন নজরুল। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। এত মানুষের ক্ষতিও হতো না। মামলার বাদী বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি। অনেকে পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সদস্যদের হারিয়েছেন। আমরা কেউ কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের আর ফিরে পাব না। কিছু মানুষের খামখেয়ালির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’ কোনো দুর্ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, শাস্তি হয় না বলেই অবহেলা বাড়ছে। শাস্তির আওতায় আনার জন্যই মামলাটি করেছেন বলে জানান বিল্লাল। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার জানান, দুর্ঘটনাজনিত অবহেলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই নাজিউর রহমানকে।

উল্লেখ্য, সোমবার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের কাছাকাছি জগন্নাথপুরে আন্তনগর এগারোসিন্দুর (গোধূলি) ও চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এগারোসিন্দুর ট্রেনের ১৮ যাত্রী নিহত ও আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় মালবাহী ট্রেনটির লোকোমাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী লোকোমাস্টার আতিকুর রহমান ও গার্ড আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।