মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির একক প্রার্থী আওয়ামী লীগে ছয়জন

আবদুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

বিএনপির একক প্রার্থী আওয়ামী লীগে ছয়জন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ আসনে (সদর-কামারখন্দ) বিএনপির একক প্রার্থী মাঠে থাকলেও আওয়ামী লীগের অন্তত ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ আসনটি ধরে রাখতে এবং বিএনপি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আগামী নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। আসনটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হোসেন আলী হাসান মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। সভা-সমাবেশ করে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা     করছেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক, জান্নাত আরা তালুকদার, পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হাসানের নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। মাঠের বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এককভাবে মাঠে রয়েছেন। তিনি মামলাজনিত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার স্ত্রী সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। জাতীয় পার্টির সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু এই আসনে দলের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন সংগঠনটির জেলার সভাপতি মুফতি মাওলানা মো. মহিববুল্লাহ এবং সহ-সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হক জিয়া। জানতে চাইলে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, সিরাজগঞ্জের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারিয়েছে অনেক আগেই। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই অসংখ্য প্রার্থী আসে বসন্তের কোকিল হয়ে। নির্বাচন শেষে আর তাদের দেখা পায় না জনগণ। আবারও দলীয় মনোনয়ন পেলে এই এলাকার ভোটারগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। মনোনয়নপ্রত্যাশী কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জেল-জুলুমসহ নানা নির্যাতন সহ্য করেছি। তবুও রাজনীতির মাঠ ছাড়িনি। শেখ হাসিনাকে ছাড়িনি। শেখ হাসিনা সদয় হলে সংসদ সদস্য হয়ে দলের দুস্থ কর্মীসহ সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে নিজের শেষ জীবনটুকু বিলিয়ে দিতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ তালুকদার বলেন, মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দল ও দলীয় প্রধানের সব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সর্বদা নিয়োজিত থাকব। আর সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, গুরুত্বপূর্ণ সিরাজগঞ্জ-২ আসনটিতে ভদ্র, শিক্ষিত, মার্জিত, সৎ এবং চৌকশ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারলে তারা এমন অভিভাবককেই বেছে নিবেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ প্রার্থী হলেও মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যেই মূল লড়াই হবে। জানতে চাইলে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রোমানা মাহমুদ জানান, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আসনটিতে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। সিরাজগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে পরিচিত তার স্বামী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে সরকারের ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জবাসী এটি কখনো মেনে নিতে পারছে না। নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দিয়ে সিরাজগঞ্জের মানুষ প্রতিবাদ জানাবে বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর