বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ১৪ সালে স্কুল পুড়িয়েছিল, এবার হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে তারা এখনো কো-ফেডারেশন করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নস্যাৎ করতে চাইলে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া। গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপি সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা আছে বলেই দেশের মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এ দেশে উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বছরে দুবার মঙ্গা হতো, এখন মানুষ মঙ্গা ভুলে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সংবিধানের ওপর আঘাত করছে, গণতান্ত্রিক ধারার ওপরে আঘাত করছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ১৪ দলের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব। আমরা নির্বাচন ঐক্যবদ্ধভাবে করব, সেই সরকার আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের উদ্দেশে আমু বলেন, আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজা বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা যেন কার্যকর হয়। তারা যেন স্বাস্থ্যসেবা পায়, সেই আহ্বান জানাই। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের মুখোশধারী সন্ত্রাসী দল। জাতীয় ঐক্যের নামে রাজাকার জঙ্গি জামায়াতের সঙ্গে কোনো মিটমাট হবে না। নির্বাচনকে জঙ্গি মুক্ত রাখতে পুলিশ হত্যাকারী, বিচারপতির ওপর হামলাকারীদের আটক করে কারাগারে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির ভরসা বিদেশি প্রভু। তাদের ওপর ভর করে আন্দোলন আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে। আহ্বান জানাব, এখনো সময় আছে এই খেলা বন্ধ করে নির্বাচনে আসুন। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই। আমরা আগেও বলেছি, যে আন্দোলনে মানুষের সম্পর্ক নেই, সেই আন্দোলন সফল হতে পারে না। আজ তা প্রমাণিত হয়েছে।