মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি মন্থর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকৃতির ক্ষতি করবে এমন কোনো প্রকল্প জেনেশুনে হাতে নেবেন না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা চরাঞ্চল ও উপকূলে সড়ক নির্মাণ করছি। হাওর এলাকায় আর কোনো সড়ক নির্মাণ করা হবে না। গতকাল ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘দ্য গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন অফার্স অ্যান অপারচুনিটি টু বুস্ট গ্রোথ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বক্তব্য রাখেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে মোড়ক উন্মোচন করেন আবদুলায়ে সেক। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন প্রকল্প আসছে, সেগুলো নারীবান্ধব, প্রকৃতি সহায়ক ও বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানি, কয়লা, তেল ও গ্যাস থেকে ধীরে ধীরে সরে সূর্যের রশ্মি থেকে কীভাবে শক্তি সংগ্রহ করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। সবুজ উন্নয়নে বাংলাদেশ কিছু চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি করেছে। যেমন গার্মেন্টস খাত সবুজ কারখানার সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে রয়েছে। আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশের শক্তি, দক্ষতা এবং সংরক্ষণ মাস্টারপ্ল্যানের রূপরেখার পথে চলতে হবে। যার মধ্যে বৃহৎ শিল্প শক্তি গ্রাহক, আবাসিক গ্রাহক, বিল্ডিং, বেসরকারি কোম্পানি এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে শক্তি দক্ষতার দিকে অগ্রসর হতে হবে। এর জন্য একটি সিরিজের প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং এর শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সবুজ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

সম্মেলনে বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থে সবুজ বৃদ্ধির এজেন্ডাকে গুরুত্ব দেব। সবুজ প্রবৃদ্ধির এজেন্ডা কীভাবে প্রবৃদ্ধি প্রদান করে এবং সবুজ বৃদ্ধিকে বোঝার জন্য আন্তবিভাগীয় পদ্ধতির গুরুত্ব সম্পর্কে চিন্তা না করে অগ্রসর হতে পারে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

‘টুওয়ার্ড ফাস্টার, ক্লিনার গ্রোথ’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর। আর্থিক খাতগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলোর কাছে তাদের অর্থনীতিগুলোকে বৈশ্বিক শক্তির পরিবর্তনের সর্বাধিক সুবিধা করতে খুবই সীমিত সুযোগ রয়েছে। গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন উৎপাদনশীলতা ও বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বায়ুদূষণ হ্রাস এবং জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর একটি সুযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর