বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

দিনব্যাপী আলোচনা মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসন এবং রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছে। রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে নিজেদের জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। টেকনাফে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসা মিয়ানমারের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের দিনব্যাপী আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাইনুল কবির সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের এই প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মতবিনিময় করেন। আজও (বুধবার) মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় চলবে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফ এসে পৌঁছান। সকাল ৯টার পর থেকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন। শরণার্থী কমিশনার জানান, প্রতিনিধি দলটি দুই দলে বিভক্ত হয়ে ১৮০ জন রোহিঙ্গা পরিবারের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মূলত প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের সম্মতি আদায়ে এই আলোচনা চলছে। যার মধ্যে একটি দল সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউস নদী নিবাসে এবং অন্য দলটি গণপূর্ত বিভাগের রেস্ট হাউসে আলোচনা করেছেন। আলোচনার জন্য আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে নিজ ভিটামাটি ও নাগরিকত্ব দিলেই স্বদেশে ফিরবেন তারা। আর দুইপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছেন তিনি। প্রতিনিধি দল রাখাইন স্টেটে সেদেশের সরকার কর্তৃক ইতিপূর্বে প্রত্যাবাসনের জন্য যেসব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এবং মডেল ভিলেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছে তার একটি ভিডিও চিত্র দেখান। তিনি বলেন, জল ও স্থলপথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে। যা ২০১৮ সালে দুই দেশের চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। আমরা জল ও স্থলপথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমরা আশা করি, দুইপক্ষের কথাবার্তার মাধ্যমে তাদের মধ্যে যে আস্থার সংকট রয়েছে, সেটি দূর হবে এবং অচিরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে, যার জন্য আমরা প্রস্তুত। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অবশ্যই মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় হবে এই জন্য বাংলাদেশ সরকার সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর