বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর্যটক নেই, ক্ষতি ব্যবসায়ীদের

প্রতিদিন ডেস্ক

পর্যটক নেই, ক্ষতি ব্যবসায়ীদের

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধের কারণে দেশের পর্যটনশিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকের অভাবে খালি পড়ে আছে। লোকসান গুনছে রেস্তোরাঁগুলো। আতঙ্কিত পর্যটকরা। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কক্সবাজার : কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেলের প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষই এখন খালি। অবরোধ চলাকালে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও গতকাল যথারীতি কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় ২২টি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করেছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথেও দুটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করেছে। সি-ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথেও চলাচলকারী তিনটি জাহাজের মধ্যে গতকাল দুটি চলাচল করেছে এবং সেগুলোয় প্রায় ৭০০ পর্যটক সেন্টমার্টিন আসা-যাওয়া করেছেন। তবে অবরোধের প্রভাবে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে জানান জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল।

সিলেট : শূন্য হয়ে পড়েছে হোটেল-মোটেল। পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় বিরাজ করছে খাঁখাঁ ভাব। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন পর্যটনের ভরা মৌসুম। এভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে সিলেটের পর্যটন ব্যবসায় অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

সিলেটের পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের ভরা মৌসুম। এ চার মাস সিলেটে প্রচুরসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। অক্টোবরের শুরু থেকে সিলেটে আশানুরূপ পর্যটকেরও দেখা মেলে। সরকারি ছুটির দিনে সিলেটে পর্যটকের ঢল নামছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ ও হরতালে সিলেটে পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : কুয়াকাটা সৈকত এখন পর্যটকশূন্য। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার সকাল থেকে সৈকতের জিরো পয়েন্টসহ পর্যটন স্পটগুলোয় বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। খালি পড়ে আছে সৈকতে রাখা ছাতা ও বেঞ্চি। এ ছাড়া ফটোগ্রাফার, স্পিডবাট চালক ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। বুকিং নেই হোটেল-মোটেলের কক্ষ। মৌসুমের শুরুতেই এভাবে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বাগেরহাট : তিন দিনের টানা অবরোধের কারণে দেশের দুটি ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন ও ষাটগুম্বুজ মসজিদ পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বাগেরহাটের এ দুটি পর্যটন কেন্দ্রে যেখানে শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক এসে থাকেন, সেখানে গত দুই দিনে বিদেশি কোনো পর্যটক আসেনি। লোকালয়ের কাছে সুন্দরবনের সব থেকে আকর্ষণীয় চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটিতে পর্যটকের দেখা মিলছে না।

সর্বশেষ খবর