নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নাশকতা, সহিংসতা ও তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা। তারা হলেন- জুয়েল আহম্মেদ, ইফসুফ আলী ভূঁইয়া, মাসুম শিকারী, হাবিবুর রহমান সেলিম, শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, মো. শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, শাকিল মিয়া, আরমান মোল্লা ও হাবিবুর           রহমান। গতকাল ভোরে রাজধানীর গুলশানের পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল বা বিভিন্ন হোটেলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যারা নাশকতাকারীদের এ ধরনের সুযোগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩১ অক্টোবর আড়াইহাজারে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতা ও পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যমের ফুটেজ, মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, নাশকতাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। সেখানে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের টার্গেট।

যেমন- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভীতসন্ত্রস্ত হয়। ২৮ অক্টোবরের পরবর্তী সময়েও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য বিভিন্ন জায়গায় চোরাগোপ্তা হামলা করা। তিনি বলেন, যারা নাশকতাকারীদের মদদ দিচ্ছে, অর্থায়ন করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কারা পেছন থেকে কাজ করছে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা কীভাবে পাঁচ তারকা হোটেলে এলো, কীভাবে রুম পেল, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাঁচ তারকা হোটেলে বসে কীভাবে নাশকতা-সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল সেসব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।