শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরকারের নির্দেশ মানছেন না ব্যবসায়ীরা

নির্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুণে বিক্রি হচ্ছে আলু, পিঁয়াজ ♦ কমেছে ব্রয়লার মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের নির্দেশ মানছেন না ব্যবসায়ীরা

ভোক্তা পর্যায়ে ডিম-আলু-পিঁয়াজ সহনীয় রাখতে নির্ধারিত দাম বেঁধে দেয় সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি পিস ডিম ১২, প্রতি কেজি আলু ৩৫-৩৬ ও পিঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউই মানছে না। বরং দাম বাড়তে বাড়তে এখন দ্বিগুণ হয়েছে। এদিকে শীতকালীন সবজির আমদানি ভালো থাকায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গতকাল রাজধানীর মালিবাগ, রায়েরবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে দেখা যায়, রবিবার ভারত পিঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে এর দাম হুহু করে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশি পিঁয়াজ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এর মধ্যে পাড়ামহল্লায় কিছু দোকানে ১৫০ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে। আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা কেজি। যদিও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে বিক্রির কথা জানিয়েছে সরকার।

এদিকে ৩৫-৩৬ টাকায় নির্দেশনা থাকলেও খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে; যা গত সপ্তাহে একই দামে ছিল। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। আর বাজারে আগাম নতুন আলু এসেছে। তা কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মালিবাগ বাজারের মুরগি বিক্রেতা হানিফ বলেন, ‘গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরাও ১০ টাকা কমিয়ে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। সোনালি ৩২০, সোনালি হাইব্রিড ৩০০, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০, লেয়ার ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’

চলতি সপ্তাহে শীতকালীন সবজির আমদানি ভালো থাকায় শিম, গাজর, ফুলকপিসহ সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের সবজির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় এ দাম কমেছে। আগামী সপ্তাহে আরও কমবে বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

মালিবাগ বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যে শিম ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে তা ১০০-১২০ টাকা। ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন, করলা, বরবটি ৮০; ঢ্যাঁড়শ ৭০, পটোল, ধুন্দল, চিচিঙ্গা ৬০; শসা ৫০-৬০, পেঁপে ৩০, মুলা ৫০, পাকা টম্যাটো (প্রকারভেদে) ১০০-১২০, কচুর ছড়া ৭০, গাজর ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৭০, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০, ধনেপাতার কেজি ২০০, কলার হালি ৩০, জালিকুমড়া ৫০, মিষ্টিকুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ছোট বাঁধাকপি ৪০-৫০, ছোট ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা। বাজারগুলোয় লালশাকের আঁটি ২০, লাউশাক ৩০, মুলাশাক ১৫, পালংশাক ২৫, কলমি শাক ১০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। লাল ডিমের ডজন ১৫৫, হাঁসের ডিম ২২০ আর দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর