শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নিষেধাজ্ঞা শেষে আড়তে ইলিশের স্তূপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও চাঁদপুর প্রতিনিধি

টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশালের পোর্ট রোড আড়তে বিপুল পরিমাণ ইলিশ এসেছে। এ সময় নদীর অন্যান্য মাছও এসেছে। তুলনামূলক কম দামে ইলিশসহ অন্য মাছ কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। এবারের অভিযান সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে মৎস্য বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের সব নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ। এ সময়ে ফাঁকফোকরে কিছু জেলে নদীতে মাছ শিকার করেছেন। ২ নভেম্বর রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশালের পোর্ট রোড আড়তে আসতে শুরু করে হাজার হাজার মণ ইলিশ। জেলেদের দাবি, নিষেধাজ্ঞাকালীন শিকার করা ইলিশ সংরক্ষণ করে বাজারে আনা হয়েছে। এ কারণে প্রচুর ইলিশের আমদানি হয়েছে আড়তে। বরফ সংকটের কারণে ইলিশ সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না বলে তারা জানান।

সরেজমিনে গতকাল বরিশাল আড়তে দেখা গেছে, রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকা মণ দরে। এ ছাড়া ভেলকা ৪০ হাজার এবং গোটলা ইলিশ (জাটকা) ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া নদীর পাঙ্গাশ ৩০ থেকে ৩৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। নদীর অন্যান্য মাছও বিক্রি হয়েছে তুলনামূলক কম দামে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে তুলনামূলক কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তবে আরেকটু দাম কমার আশা তাদের। জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল জানান, ধরা পড়া ইলিশের আকার ছোট। বড় ইলিশ কম। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে একযোগে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করেছেন। এ জন্য বাজারে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের আমদানি বেশি। ধরা পড়া ইলিশের বেশিরভাগ পুরুষ এবং আকারে ছোট। মৎস্য বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় এবার ইলিশের উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা তাদের। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাস জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। ছোট আকারের ইলিশের দামের চেয়ে বড় পাঙ্গাশ ও আইড়ে জেলেদের লাভ বেশি। কারণ বড় সাইজের পাঙ্গাস/আইড় বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ হাজার টাকা। এদিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন আড়তে গিয়ে দেখা যায় বড় সাইজের পাঙ্গাশ মাছ। ইলিশ থাকলেও ছোট সাইজের।

জেলে রাসেল ব্যাপারী ও রিপন মিয়া জানান, সকাল ৮টায় ঘাটে এসেছি ইলিশ বিক্রি করতে। তিন হালি ইলিশ ১ হাজার ৪০০ টাকায়  বিক্রি করেছি। তবে জ্বালানি খরচ প্রায় ৭০০ টাকা হয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। ছোট সাইজের ইলিশের হালি ৫০০-৫৫০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ খুবই কম। ছোট এবং বড় সাইজের ইলিশই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর