শিরোনাম
রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে চার, একক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপিতে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

আওয়ামী লীগে চার, একক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপিতে

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসন দাউদকান্দির ১৫টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও তিতাসের ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে বিএনপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী একজন। আওয়ামী লীগে দৃশ্যত চারজন এবং জাতীয় পার্টিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা এখনো চোখে পড়েনি। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া। কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া এ দলের দৃশ্যত আর  কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী নেই। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনালে (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া স্বাভাবিকভাবেই আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন।

এ ছাড়া দলের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান জয় এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার নাঈম হাসান। জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জায়েদ আল মাহমুদ মাখন সরকার, উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাবেক এমপি আমীর হোসেন ও উত্তর জেলার সদস্য সচিব ইফতেখার আহসান হাসান মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। সূত্রমতে, জেলা সদর থেকে এই আসনের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর পাড়ে এই আসনের অবস্থান। সম্প্রতি এই আসন থেকে মেঘনা উপজেলা বাদ গিয়ে তিতাস উপজেলা যুক্ত হয়েছে। এই আসনের দাউদকান্দি উপজেলায় রয়েছে জেলার বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র গৌরিপুর বাজার। এখানে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ থেকে খন্দকার মোশতাক আহমেদ, জাসদ ও জাতীয় পার্টি থেকে আবদুর রশিদ ইঞ্জিনিয়ার দুইবার, জাতীয় পার্টি থেকে আবদুল আলী মুন্সী, বিএনপি থেকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন চারবার, আওয়ামী লীগ থেকে জেনারেল সুবিদ আলী ভূইয়া তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমানে অসুস্থ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর  থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন। তার পরিবারের একটি সূত্র জানায়, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে ছেলে ড. মারুফ হোসেন খন্দকার নির্বাচন করতে পারেন।

 জেনারেল সুবিদ আলী ভূইয়া দীর্ঘদিন পর এই আসনে নৌকাকে বিজয়ী করেন। তার ছেলে মোহাম্মদ আলী বর্তমানে দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান। প্রকৌশলী আবদুস সবুরের এলাকায় ভালো ভাবমূর্তি রয়েছে। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান জয় একজন শিক্ষাবিদ। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার নাঈম হাসান দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জায়েদ আল মাহমুদ মাখন সরকারের বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলায়। এখানে তিতাস উপজেলা থেকে ভোট বেশি। সে হিসাবে তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাবেক এমপি আমীর হোসেনের বাড়ি তিতাস উপজেলায়। তবে সাবেক এমপি হওয়ায় দল এবং মাঠে তারও ভালো অবস্থান রয়েছে। জানতে চাইলে মেজর জেনালে (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া এমপি বলেন, আমি ও আমার ছেলে মিলে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছি। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছি। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে পুনরায় মনোনয়ন চাইব। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। উন্নয়নের কারণে জনগণ আমাকে পুনরায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন। প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করবেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার নাঈম হাসান বলেন, দাউদকান্দি ও তিতাসের পাড়া মহল্লায় গিয়েছি। মানুষের সাড়া পেয়েছি। মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে দাউদকান্দিকে নতুনভাবে সাজাতে পারব।

সর্বশেষ খবর