রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

যুবদল নেতাকে গাড়িতে তুলে কুপিয়ে আহত

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের লালপুরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবদল নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত মাসুদ রানা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত মাসুদ রানা বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগসোশা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। বিলমাড়িয়া বাজারে তার প্রসাধনীর দোকান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো মাসুদ রানা বিলমাড়িয়া বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করে অন্য এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে নাগসোশা গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাজারের পশ্চিম পাশের সড়কে একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি মাইক্রোবাসের কাছাকাছি পৌঁছালে ছয়-সাতজন লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয়ে তাকে থানায় যাওয়ার জন্য জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় তার ডান পা ও ডান হাতের নিচের অংশ কুপিয়ে রগ কেটে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। পথচারীরা মাসুদ রানাকে পড়ে থাকতে দেখে তার পকেটে থাকা মোবাইলফোন থেকে স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানান। তখন তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন মাসুদ রানাকে অপহরণের স্থান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর মহিলা কলেজের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, মাসুদ রানার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও ডান হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মাথায়ও আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাসুদ রানার সঙ্গে সালাহ উদ্দিন নামের এক স্বজন জানান, মাসুদ রানা সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দুর্বৃত্তরা তার হাত-পায়ের রগ কাটলেও কাছে থাকা টাকাপয়সা নেয়নি। রাজনৈতিক কারণে তাকে আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, পুলিশের কেউ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে এ ব্যাপারে শনিবার সকাল পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

সর্বশেষ খবর