সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শরীয়তপুরে তিন সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় তিন সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সালমা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় দুই শিশুসন্তানকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সালমা বেগম ও আরেক শিশুপুত্র সাহাবীর (৭)।

গতকাল দুপুরে নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে কীর্তিনাশা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ সালমা বেগম একই গ্রামের আজবাহার মাদবরের স্ত্রী। জীবিত উদ্ধারকৃত দুই শিশু হলো- আনিকা (৩) ও জাফর (১)। তারা সুস্থ রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার লোকমান ছৈয়ালের মেয়ে সালমা বেগমের সঙ্গে ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে আজবাহার মাদবরের। বিয়ের পর থেকেই সালমা বেগমের শাশুড়ি মিলি বেগম ও ননদ কলির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না সালমার। শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে সকালে তিন সন্তান সাহাবীর, আনিকা ও জাফরকে নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন সালমা। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে নদী থেকে আনিকা ও জাফরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ সালমা বেগম ও তার ছেলে সাহাবীরকে উদ্ধার তৎপরতা চালায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে আলো স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যায় উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আজ আবার উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হবে।

নিখোঁজ সালমা বেগমের মামা লিটন ছৈয়াল বলেন, আমার ভাগনিকে বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত। গতকাল রাতে তারা আমার ভাগনিকে মারধর করে। এ  ক্ষোভে তিন বাচ্চাকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি। সালমা বেগমের বাবা লোকমান ছৈয়াল বলেন, ওদের জন্যই আমার মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই। সালমা বেগমের স্বামী আজবাহার মাদবর বলেন, কী কারণে আমার বাচ্চাদের নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে তা জানি না। সালমার সঙ্গে কারও কোনো ঝামেলা ছিল না। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, সালমা নামের এক গৃহবধূ সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত শেষে জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর