মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রস্তুতিতে এগিয়ে আওয়ামী লীগ, দোটানায় বিএনপি

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রস্তুতিতে এগিয়ে আওয়ামী লীগ, দোটানায় বিএনপি

চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নির্বাচনি প্রচারের অংশ হিসেবে সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। আর মহাজোটের দিকে তাকিয়ে আছে জাতীয় পার্টি। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় দোটানায় রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নির্বাচনি প্রস্তুতিতে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও বিএনপি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও জাতীয় পার্টি (জাপা) জোট গঠনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের তিনজন হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশী। নেতা-কর্মীরা তাকিয়ে রয়েছেন কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রতীক নৌকা কাকে বরাদ্দ দেন সেদিকে।

এ আসনের বর্তমান এমপি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি তিনবার এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি দলীয় শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে এ আসনে আরও দুজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়মিত এলাকায় সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবার নতুন করে যোগ হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তারা নিয়মিত এলাকায় বিভিন্ন দলীয় ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ঘিরে নেতা-কর্মীরা ত্রিমুখী অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপি ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মালয়েশিয়া প্রবাসী মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পেলেও এলাকায় এসে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি। নির্বাচন-পরবর্তীতে তাকে এলাকায় দলীয় বা সামাজিক কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। বর্তমানে দলীয় এক দফার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। এ আসনের দুবারের সাবেক এমপি ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। ৩৬টি মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘ ৫২০ দিন কারাভোগ করেছেন তিনি। এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তার গাড়ি ভাঙচুরসহ হামলার শিকার হয়েছেন।

জানতে চাইলে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বিএনপি মানুষের ভোটাধিকারের যৌক্তিক দাবি নিয়ে মাঠে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। বিগত ১০-১২ বছর ধরে সাধারণ ভোটাররা স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তবে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে দল আবারও আমাকে মনোনয়ন দেবে এটা আমার বিশ্বাস। তার স্ত্রী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভানেত্রী নাজমুন নাহার বেবী এলাকায় নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনিও এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। প্রকৌশলী আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিক মনোনয়ন পেতে এলাকায় জনসংযোগের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেতে সাবেক সংসদ সদস্য ডা. শহিদুল ইসলাম কাজ করছেন। ডা. শহিদ বলেন, দলীয় লাঙ্গল প্রতীক পেলে শতভাগ বিজয়ী হব। এ ছাড়াও জাপার কেন্দ্রীয় সদস্য এমদাদুল হক রুম্মন এলাকায় নিয়মিত দলীয় ও সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর