মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় খোয়াবনামা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় খোয়াবনামা

নাটকের দল প্রাচ্যনাটের প্রযোজনায় শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হয়েছে ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক ‘খোয়াবনামা’। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় এই নাটকটি। এটি প্রাচ্যনাটের ৩৭তম প্রযোজনার নাটক।

প্রখ্যাত কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প অবলম্বনে মো. শওকত হোসেন সজীবের নাট্যরূপে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। সাতচল্লিশের দেশভাগের পটভূমিতে তৎকালীন জনমানুষের বিস্তৃত জীবন আখ্যান ‘খোয়াবনামা’। এই গল্পের মধ্য দিয়ে সময়ের জীবন ও বাস্তবতাকে ঔপন্যাসিক তুলে ধরেছেন নিপুণ হাতে। কাতলাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে আবাদ শুরু করার দিনের এক বিকাল বেলায় মজনু শাহর অগুনতি ফকিরের সঙ্গে মহাস্থানগড়ের দিকে যাওয়ার সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনশি বয়তুল্লাহশাহ। কাতলাহার বিলের দুই ধারের গিড়িডাঙা ও নিজ গিড়িডাঙার মানুষ সবাই জানে, বিলের উত্তরে পাকুড় গাছে আসন নিয়ে রাত ভর বিল শাসন করে মুনশি। দূরে কোথা ও ভূমিকম্প হলে যমুনা বদলে যায়। বন্যায় ভেঙে পড়ে কাতলাহারের তীর। মুনশির নিষ্কণ্টক অসিয়তে চাষিরা হয় কাতলাহার বিলের মাঝি। সময়ের আবর্তনে বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনশির শ্লোকে শ্লোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলি ফকির। তমিজের বাপ শ্লোক শুনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড় গাছের মুনশিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূর্ব পুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠ নাথগিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলির নাতনি কুলসুম খোয়াবে কার কায়া যে দেখতে চায়, তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষপর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে। সে নাম চায়, বউ চায়, ঘর চায়। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনি। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাহানা রহমান সুমি, সাখাওয়াত হোসেন রিজভী, মনিরুল ইসলাম রুবেল, চেতনা রহমান ভাষা, মিতুল রহমান, মো. সোহেল রানা, তানজিকুন, সাইদুর রহমান শাহীন, রকি খান, ডায়না, শ্রাবণ শামীম, সাইম বিন মুজিব প্রমুখ।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর