বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিআইডির মানি লন্ডারিং মামলা

মাদকের কারবার করে কোটিপতি পারুল

মাহবুব মমতাজী

মাদকের কারবার করে কোটিপতি হয়েছেন গাজীপুরের টঙ্গী থানার পারুল (৩৩)। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং সার্বিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যাদি বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার পর তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ৩০ অক্টোবর গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলাটি করেন সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমের এসআই জোনাঈদ হোসেন। মাদক ব্যবসা থেকে পারুলের প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আয়ের খোঁজ পেয়েছে সংস্থাটি। সিআইডি বলছে, অবৈধ মাদক ব্যবসায় জড়িত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন পারুল। ২০১০ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসংক্রান্ত বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৭ লাখ টাকার মাদক জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান জানান, পারুলের দৃশ্যমান আয় না থাকার পরেও অবৈধ মাদক ব্যবসার টাকায় নিজ ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে জমি ক্রয়, বিলাসবহুল বাড়ি এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে।

অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, পারুল মাদকের টাকা দিয়ে ‘মেসার্স পলক স্টোর’ নামে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে। এ ছাড়া বাসার পাশে একটি অটোরিকশার গ্যারেজ আছে। অথচ এর কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। বাড়ি, জমি ও বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগে থাকা পারুলের প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পারুল টঙ্গীতে ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ৩.৭৫ শতাংশ বাগান কেনেন। যার মূল্য ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ৩.৬৬ শতাংশ জমির আরেকটি বাগান কেনেন। যার মূল্য ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ২০১০ সালের ১ আগস্ট ৪.৭৬ শতাংশের একটি জমি কেনেন। যার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পারুলের নাবালিকা মেয়ে আঁখি আক্তারের নামে একই বছরের ৬ এপ্রিল ২.৪৮ শতাংশ জমি  কেনেন। যার মূল্য ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। টঙ্গীর এরশাদনগরে ২ শতাংশ জমির ওপরে থাকা একটি টিনশেড বাড়ি কেনেন। যার মূল্য ২০ লাখ টাকা। একই এলাকায় একই দামে আরেকটি বাড়িও কেনেন। এরশাদনগরে ১ কোটি টাকায় তিন তলা আরেকটি বাড়ি কিনেন। এ ছাড়া পারুলের নামে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের টঙ্গী শাখায় একটি হিসাব নম্বর পাওয়া যায়। তার এই হিসাবে ২০১৫ সালের ৩০ জুন থেকে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখ ৮০ হাজার ১৭৯ টাকা জমা এবং উত্তোলন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর