শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেই মহিষের গাড়ি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

সেই মহিষের গাড়ি

এক সময় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় একমাত্র বাহন ছিল গরু কিংবা মহিষের গাড়ি। লালমনিরহাটের মানুষ ধান-চাল, পাটসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য পরিবহনে মহিষের গাড়ি ব্যবহার করত। কিন্তু এখন আর লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার বাথান (গো-চারণ ভূমি) ও পাথারে (নিচু জমি) আগের মতো আর মহিষের গাড়ি চোখে পড়ে না।

এখন মহিষের গাড়ির জায়গা দখল করে নিয়েছে শ্যালোইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত ভটভটি, করিমন, নছিমন, অটোভ্যান, পিকাপভ্যানসহ নানা যান্ত্রিক পরিবহন। ফলে বিল, বাথান ও পাথার এলাকায় মহিষের গাড়ি আর চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে ২-১টি দেখা গেলেও তা আসে অন্য কোনো স্থান থেকে। ফলে জেলায় মহিষের গাড়ি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। ঝন্টু মিয়া নামে এক মহিষের গাড়িয়াল বলেন, আগে সারা বছর গাড়ি চালাতাম। এখন শুধু মাঝেমধ্যে ডাক পড়লে কাজ করি। আর সারা বছর বেকার বসে থাকি। এখন সবাই ভটভটি, করিমন, নছিমন দিয়ে এ কাজ করায়। ফলে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। এতে আমরা চরম অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছি। অন্য পেশা বেছে নিচ্ছি। কৃষকরা বলেন, যান্ত্রিক পরিবহনে খরচ বেশি। তাছাড়া যেসব স্থানে যান্ত্রিক পরিবহন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।

 সেখানে মহিষের গাড়ি সহজে ব্যবহার করা যায়। ফলে এখনো ২-১টি মহিষের গাড়ি এ অঞ্চলে দেখা যায়। হয়তো এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহনটা আর চোখে পড়বে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান মনে করেন, দেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করায় গ্রামীণ সংস্কৃতিও ডিজিটালাইজ হয়েছে। আর তাতেই হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যগুলো। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে চেষ্টা করছি গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলো যাতে আবারও ফিরে আসে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর