রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক জমিতে ফল আবাদ করেই বছরে আয় ৩ লাখ টাকা

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

এক জমিতে ফল আবাদ করেই বছরে আয় ৩ লাখ টাকা

মামুনের ফল বাগানে প্রবেশ করে দেখা যাবে কোনো গাছে মালটা, কোনো গাছে কমলা, কোনো গাছে লেবু, না হয় অন্য ফলের সমাহার। মিশ্র ফল বাগান করে তিনি বছরে আয় করছেন ৩ লাখ টাকা।

দিনাজপুরে একই জমিতে বিভিন্ন ফলের চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়ে সাড়া ফেলেছেন এ যুবক। পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে এ ব্যতিক্রমী ফলের বাগান করে ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি। আবার এখানে কয়েকজনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। তাকে অনুকরণ করে এখন অনেকেই এমন বাগান করতে এগিয়ে আসছেন।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউপির ছিটভগীরপাড়া গ্রামের শিক্ষিত যুবক আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২০ সালের মে মাসে ৪২ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৬৭ শতক জমিতে চাষ শুরু করেন মালটা, কমলা, আপেল কুল, লেবু ও সুপারি চাষ। বর্তমানে তার এ মিশ্র ফল বাগানে বারি-১ জাতের মালটা ১৪০টি, দার্জিলিং মেন্ডারিং কমলা ১০৬টি, বলসুন্দরি ও কাশমেরী আপেল কুল ১০০টি, সুপারি ৮৭টি, লেবু গাছ ১৫০টি রয়েছে।

আল মামুন বলেন, বাগানটি ২০২০ সালে শুরু করি। ১৫ মাস পরেই বাগানের ফল বিক্রি করে ২ লাখ টাকা আয় করি। ২০২২ সালে ভুল কীটনাশক স্প্রে করায় আপেল কুলের ক্ষতি হয়। কিন্তু অন্যান্য মালটা, কমলা, লেবু, সুপারি থেকে কিছু আয় করি। কিন্তু ২০২৩ শুরুর দিকে এ বাগান থেকে শুধু মালটা বিক্রি করেছি ১ লাখ ২৫ হাজার, লেবু ৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে কমলা ও আপেল কুল যা আছে এর দামও ২ লাখ টাকার বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, এ বাগানে কম-বেশি তিনজন শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করে, তাদের জন্য একটা কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। এখান থেকে তারা বাড়তি আয় করছে। তবে আমার মিশ্র ফল বাগান করার উদ্দেশ্য হলো- এ বাগান থেকে একেক সময় একেক ফল বিক্রি করা। প্রায় সবসময় কোনো না ফল বিক্রি করছি।

সর্বশেষ খবর