বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চৌকি আদালত ও বিচারকদের নিরাপত্তা চান সুপ্রিম কোর্ট

১০ জন সশস্ত্র আনসার মোতায়েনের অনুরোধ

আরাফাত মুন্না

দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারক এবং তাদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ১২ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। বর্তমানে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

জমিদারি আমলে খাজনা-সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছিল এসব চৌকি আদালত। বর্তমানে দেশের ২০টি জেলায় চৌকি আদালতের কার্যক্রম চালু রয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ৪২টি দেওয়ানি ও ২৫টি ফৌজদারি চৌকি আদালত জেলা শহর থেকে দূরে অবস্থিত। চৌকি আদালতের অধিকাংশ বিচারকই আদালত চত্বরে সরকারি বাসভবনে অবস্থান করেন। চৌকি আদালত এবং ওই আদালত চত্বরে সরকারি বাসভবনে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় সব চৌকি আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি আদালত ও সংশ্লিষ্ট বাসভবনের জন্য একজন পিসি বা এপিসিসহ কমপক্ষে ১০ জন অঙ্গীভূত সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা জরুরি। এর আগে ১৪ আগস্ট আনসারের মহাপরিচালককে ডেকে এ বিষয়ে কথাও বলেন ওই সময়ের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শরীয়তপুরে চিকন্দি চৌকি আদালতের বিচারকের বাসভবনে হামলার পর নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসে। এর পরপরই ওই সময়ের প্রধান বিচারপতি আনসার ডিজিকে ডেকে কথা বলেছিলেন। ওই বৈঠকের আলোচনার আলোকেই আইন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলায় বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের অসদাচরণ এবং আদালত ভবন থেকে নথি চুরির ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ওই সময় অধস্তন সব আদালত ও বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় দেশের প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, বিচারকসহ আদালতসংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট থেকে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক, অধস্তন আদালতসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর