আগামী বছরে পবিত্র হজ পালনের নিয়তকারীদের জন্য আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেসরকারি হজযাত্রীরা ২ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। এদিকে রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪ সালের ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ’ ঘোষণা করেছেন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম। সরকারি প্যাকেজের মতো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও হজযাত্রীদের খরচ কমিয়ে এবার দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এতে বেসরকারি প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৮৩ হাজার টাকা বা নেট হিসাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কম। গত বছরের সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এবার বেসরকারি দ্বিতীয় (বিশেষ) প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যা এবারের সরকারি বিশেষ প্যাকেজের খরচের চেয়ে কম। সরকারি বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। ধর্ম মন্ত্রণালয় গত ২ নভেম্বর সরকারিভাবে হজে যাওয়ার সাধারণ ও বিশেষ দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। নিবন্ধনের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত হবেন, প্রাক নিবন্ধিত সেই হজযাত্রীকে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট পুরো টাকা আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা করে বা এজেন্সির অফিসে জমা দিয়ে মানি রিসিট গ্রহণ ও তা সংরক্ষণ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে হজযাত্রীদের এজেন্সির অ্যাকাউন্ট ছাড়া কোনো দালাল বা ফড়িয়াদের হাতে টাকা না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে প্রতারিত হতে পারেন বলেও সতর্ক করা হয়। দালালদের সঙ্গে লেনদেন করে প্রতারিত হলে সরকার, হাব বা হজ এজেন্সি কেউ দায়ী থাকবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির কোটায় ১ লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন। উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষিত সরকারি প্যাকেজ অনুযায়ী হজে যাওয়ার জন্য সাধারণ প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। বিশেষ হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো, অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুম নেওয়ার সুবিধা, হেরেম শরীফের চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে উন্নতমানের হোটেল। মদিনা শরীফে মারকাজিয়া এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা। এক রুমে সর্বোচ্চ ৪ সিট থাকবে। মিনায় ‘এ’ ক্যাটাগরির তাঁবুতে আবাসন ও বুফে খাবারের ব্যবস্থা। মিনা-আরাফাহ মুজদালিফা-মিনায় যাতায়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বাসে সিট রিজার্ভ রাখার ব্যবস্থা।