শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

৪ ঘণ্টা বৈঠক বাইডেন-জিন পিং হয়নি ঐকমত্য

প্রতিদিন ডেস্ক

৪ ঘণ্টা বৈঠক বাইডেন-জিন পিং হয়নি ঐকমত্য

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং -এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মধ্যে প্রায় ৪ ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (বাংলাদেশ সময় গতকাল) সানফ্রান্সিসকোর প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে দুই শক্তিধর দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় নিয়ে কথা হলেও কোনো ঐকমত্যের খবর পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে কোনো পক্ষই স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে বিভিন্ন সূত্রের তথ্যানুযায়ী, আলোচনার ফলাফল শূন্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি, সিআরএল অনলাইন।

একটি খবর অনুযায়ী, জো বাইডেন ও শি জিন পিংয়ের মধ্যে ৪ ঘণ্টার বৈঠকে উঠে এসেছে দ্বিপক্ষীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে বিশ্বের এ দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ গলে কি না, সেদিকে নজর ছিল বিশ্বের। কিন্তু সুদীর্ঘ বৈঠক যে সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি, তা স্পষ্ট হয় বাইডেনের কথায়। জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাকে আবারও ‘স্বৈরশাসক’ বলে কটাক্ষ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে তাইওয়ান প্রশ্নে বাইডেনকে খোঁচা দিতেও পিছপা হননি শি জিন পিং।

বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখনো চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ বলে মনে করেন কি না? উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘ওনাকে দেখে তা-ই মনে হয়! মানে, যেভাবে তিনি দেশ শাসন করছেন, চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ, যার সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, সেসব বিবেচনায় জিন পিং তো একজন স্বৈরশাসক।’ অন্যদিকে তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে কড়া বার্তা দেন শি জিন পিং। তিনি বাইডেনকে বলেছেন, ‘স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আপনারাই। এবার তা প্রমাণ করুন।’ এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক চীন’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন জিন পিং। জবাবে বাইডেন তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি এ নীতি পরিবর্তন করব না’।

আরেক খবরে বলা হয়েছে, দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে চীনা নেতা বলেন, বর্তমান বিশ্ব এক শতাব্দীতে অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সামনে দুটি বিকল্প আছে, একটি হলো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং বিশ্ব নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য যৌথভাবে ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করা। অন্যটি হলো পরষ্পরকে কোনো ছাড় না দেওয়া, দুই শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব উসকে দেওয়া এবং বিশ্বকে অশান্তি ও বিভাজনের দিকে নিয়ে যাওয়া। এ দুটি বিকল্প দুটি দিকের প্রতিনিধিত্ব করে, যা মানব জাতি ও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হিসেবে চীন-মার্কিন সম্পর্ককে এ প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করে পরিকল্পনা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর