লম্বা পা তিশাবাজ বাজপাখি প্রজাতির একটি পাখি। বাজপাখির বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এ প্রজাতিটি বিরল। এক সময় নদী তীরে কিংবা জলাশয়ে এদের দেখা মিললেও এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।

জানা গেছে, লম্বা পা তিশাবাজ একটি ফ্যাকাশে বাফ লেজের সঙ্গে একটি দীর্ঘ ডানাযুক্ত পাখি। এটির ওপরের স্থান, ঘাড় এবং মাথা ফ্যাকাশে এবং লেজটি অস্পষ্ট বাদামি ক্রসবারগুলোর সঙ্গে ফ্যাকাশে-ক্রিমযুক্ত হয়ে থাকে। এদের সোনালি-বাদামি আইরিস, কালো চূড়াযুক্ত বাদামি চঞ্চু এবং ফ্যাকাশে হলদে পা রয়েছে। এ প্রজাতিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেড় হাজার মিটার ওপরে উড়তে পারে। এ প্রজাতির পাখি ৩ থেকে ৪ হাজার মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পাহাড়ে বসবাস করতে পারে। প্রজননের সময় এ পাখিরা স্থলে ছড়িয়ে পড়ে। বাবা-মা দুজনে মিলে বাচ্চাদের যত্ন নিয়ে বড় করে তোলে। এরা প্রধানত ঘাসফড়িং, পাখাওয়ালা উইপোকা, বড় বড় কীটপতঙ্গ, নেংটি ইঁদুর, ইঁদুর, ছোট সাপ, ব্যাঙ, শামুক ইত্যাদি খেয়ে থাকে। তবে সুযোগ পেলে খরগোশ জাতীয় প্রাণীও শিকার করে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, সপ্তাহখানেক আগে তিস্তা নদীর তীর থেকে এ বিরল প্রজাতির পাখিটির ছবি তুলেছি। লম্বা পাওয়ালা তিশাবাজ পাখি এখন আর দেখা যায় না। বিরল এ পাখিটির নানা কারণে দিন দিন সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ পাখিটি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।