শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

টানা কর্মসূচিতে সেশনজটের শঙ্কা

হরতাল অবরোধে বিঘ্নিত হচ্ছে ক্লাস পরীক্ষা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসের চার দিনই বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা। এতে সেশনজটের শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক বলেন, শিক্ষকদের উচিত নিয়মিত ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম, অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাসসহ সব কার্যক্রম দ্রুত সম্ভব শেষ করে দেওয়া। করোনার ধাক্কা সামলিয়ে শিক্ষার্থীদের এখন আবার নতুন করে সেশনজটে পড়তে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ক্যাম্পাসের সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা নেই, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় আছে। আমাদের যেসব দূরপাল্লার বাস বন্ধ আছে এবং চলমান ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে আগামী মঙ্গলবার বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অনেক বিভাগে ক্লাস হচ্ছে, পরীক্ষাগুলো

প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষকরা আন্তরিকতার সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু কোনো কোনো শিক্ষকের ক্যাম্পাসে না আসা খুবই দুঃখজনক। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ বিভাগ ও দুই ইনস্টিটিউটে ক্লাস, মিডটার্ম, প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্ট ও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাগুলো স্থগিত রাখা হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি বিভাগে এসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ বিভাগে শিক্ষকদের কক্ষে তালা ঝুলছে এবং কোনো কোনো বিভাগে একজন শিক্ষককেও দেখা যায়নি।

ক্যাম্পাস ঘুরে আরও দেখা যায়, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কয়েকটি বিভাগসহ সাত-আটটি বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। কয়েকটি বিভাগে শুধু মিডটার্ম চললেও বাকি বিভাগগুলো বন্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, রসায়ন, নৃবিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজিসহ আরও কয়েকটি বিভাগে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি ওই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের অভিভাবকরা বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছেন না। আমরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি না। তা ছাড়া হরতাল-অবরোধের মধ্যে আমাদের দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে হরতাল-অবরোধের মধ্যে ক্যাম্পাসের বাস এবং অন্যান্য গণপরিবহনে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এলে আমরা ক্লাস নিতে বাধ্য। কিন্তু আমরা ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে এলেও শিক্ষার্থীরা আসছে না। তারা আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আমরা ক্লাস নিচ্ছি। তবে অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম হওয়ায় ক্লাস, মিডটার্মগুলো স্থগিত রেখেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর