শিরোনাম
সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিবি পরিচয়ে তুলে নিলে জানানোর অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে অনেক সময় অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। যদি অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিবি পরিচয়ে কাউকে গ্রেফতার করে তাহলে তাদের ডিবি ও সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ডিবি পরিচয়ে আটকের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, ডিবি সদস্যরা যদি কাউকে আটক করে সেটি আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় মামলা, ওয়ারেন্ট অথবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে অনুযায়ী গ্রেফতার করতে যায়। এক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশনা হলো, তাদের আইডি কার্ড ঝোলানো থাকবে। পাশাপাশি ডিবির আধুনিক যে জ্যাকেট রয়েছে সেটি তাদের শরীরে থাকবে। এটা বলার পরও দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ সাদা পোশাকে এসে ডিবির নাম ব্যবহার করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন লোক আমাদের কাছে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারি না। কারণ আমাদের কাছে নেই। তাই আমি বিনীত অনুরোধ করব, যারাই ডিবির নাম ব্যবহার করেন, তারা ডিবির নাম ব্যবহার না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থার স্ব স্ব পরিচয় দেবেন। তবে অনেক সময় আছে কিছু অপরাধী অপহরণের উদ্দেশে তুলে নিয়ে যায়। তারাও ডিবির নাম ব্যবহার করে। ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিএনপির কর্মীরা তান্ডব চালিয়েছে। সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। তারা হলেন- বিএনপিকর্মী ইসমাঈল পাটোয়ারী, শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এস এম মুরাদ হোসেন মামু এবং যুবদলকর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ ও মোস্তফা কামাল সুমন। এছাড়া বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর