সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হবিগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রাইভেট চিকিৎসাসেবা বন্ধ

ভোগান্তিতে মানুষ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা ও বিনা তদন্তে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা প্রাইভেট চিকিৎসাসেবা গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। আর চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন হবিগঞ্জ ক্লিনিক মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি জমিন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গতকালও হবিগঞ্জ শহরের সবকটি প্রাইভেট ক্লিনিক হসপিটালে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ রোগীসহ তাদের স্বজনরা। যে কারণে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যায়।

জানা যায়, সম্প্রতি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের নূর আলীর স্ত্রী রহিমা আক্তার (৫৫) শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দ্য জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে টিউমার অপসারণের সময় তার খাদ্যনালি, জরায়ু ও কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে গাইনি চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষের বিরুদ্ধে। পরে ওই নারী মারা যান।

এ ঘটনার পর নিহতের চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষ, হাসপাতালটির পরিচালক এ কে আরিফুল ইসলাম, স্টাফ জনি আহমেদ ও তাবির হোসাইনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। ১৪ নভেম্বর ডা. এস কে ঘোষসহ আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিন চাইলে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে, বিনা তদন্তে স্বনামধন্য চিকিৎসককে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে গত শনিবার এক জরুরি সভা করেন হবিগঞ্জ শহরে কর্মরত চিকিৎসকরা। সভা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

হবিগঞ্জ প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল বারী আওয়াল জানান, এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্ত ছাড়াই কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা দ্রুত ডা. এস কে ঘোষের মুক্তির দাবি জানাই। অন্যথায় আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকলেও সদর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর