মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজার আরও এক হাসপাতালে বর্বরতা, ১২ জনকে হত্যা

প্রতিদিন ডেস্ক

অবরুদ্ধ গাজার আল-শিফা হাসপাতালের মতো এবার উত্তরাঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল ঘেরাও করে ইসরায়েলি সেনারা ১২ জনকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে চিকিৎসক ও রোগী রয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা।

গাজার উত্তরাঞ্চলে বড় হাসপাতালগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রবিবার কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা না দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক নিয়ে হাসপাতালটি ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। হাসপাতালের ভিতরে তারা নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালায়। ইসরায়েলি ট্যাংক হাসপাতালের চারপাশ ঘিরে রেখেছে।

গাজায় নিযুক্ত এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে আল-শিফা হাসপাতালে যা ঘটেছে ইসরায়েলি বাহিনী তারই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে এবার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে। তারা ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালটিও দখল করে নিতে পারে। হামলায় হাসপাতালটির জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। হামলা চলার মধ্যে মুঠোফোনের আলো ব্যবহার করে চিকিৎসাকর্মীরা রোগীদের অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলার আঘাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেছেন, হাসপাতালটির অবস্থা বিপর্যয়পূর্ণ। হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসাকর্মী, আহত ব্যক্তিসহ প্রায় ৭০০ মানুষ অবস্থান করছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আরেক খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের দেড় মাসে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১ হাজারেরও বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত গতকাল সেখানকার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যাবতীয় নিষ্ঠুরতা ও আগ্রাসনের শেকড় হলো ইরান। চলমান এই যুদ্ধে যদিও আমাদের গাজার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই যুদ্ধ ইতোমধ্যেই বহুমুখী রূপ নিয়েছে।’ এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। উল্লেখ্য, ইসরায়েলি ভূখে হামলা চালানোর সময় সেখান থেকে ২৪২ ইসরায়েলি ও অন্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মুক্তি দিলেও বাকিরা এখনো বন্দি আছে।

সর্বশেষ খবর