বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিশ্বশান্তি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা জাতিসংঘের

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বললেন, আমি খুবই গৌরব বোধ করছি যে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য নিরন্তর সচেষ্ট রয়েছে। ৫০ বছরেরও কিছু সময় আগে তারা নিজ দেশের স্বাধীনতার জন্যও সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। সেই বাহিনীর সদস্যরা এখন বিশ্বের গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলের শান্তি-নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলছেন এবং বাংলাদেশ হচ্ছে শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বাধিক সংখ্যক সেনা সরবরাহকারী দেশ। সেই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মুহিতের গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি অনুষ্ঠানে যোগদানের সুযোগ দেওয়ার জন্যে। অতুল খারে বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদে শান্তি প্রতিষ্ঠাই শুধু নয়, সামাজিক সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান চালুর ব্যাপারেও শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশি সৈন্যদের ভূমিকা আজ সর্বজনবিদিত। 

মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে গত মঙ্গলবার ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁপিয়েরে ল্যাক্রুয়া। তিনিও শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সৈন্যদের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন।

সমাবেশে জাতিসংঘের নিরাপত্তা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি ভুনিওয়াকা, জাতিসংঘের মিলিটারি অ্যাডভাইজার  জেনারেল বিরামে ডিওপিসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত (স্থায়ী প্রতিনিধি) ও সামরিক উপদেষ্টাগণ (মিলিটারি অ্যাডভাইজার) অংশগ্রহণ করেন।  অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।

সর্বশেষ খবর