ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অথবা জেল দেওয়া হচ্ছে। তবে বাসাবাড়ির পাশাপাশি এখন সরকারি অফিসগুলোতেও উল্লেখযোগ্য হারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখেছি, পেট্রোবাংলা, টিসিবি প্রত্যেকটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিচে লার্ভার চাষ হচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যার যার বাসাবাড়ি ও অফিস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। আমরা চাই না যে ডেঙ্গুর লার্ভার জন্য কেউ জেল খাটুক বা জরিমানা দিক। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) আয়োজিত কমিউনিটি পর্যায়ে ডেঙ্গুবিষয়ক জনসচেতনতা কার্যক্রম উদ্বোধনের বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি ডেঙ্গু নয়, এখন বারো মাসই এটা থাকে। আর যেসব হাসপাতালে আমরা ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি, সেই হাসপাতালের আশপাশে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত ফগিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন একটি অ্যাপের কাজও চলমান আছে। অ্যাপটির মাধ্যমে কোনো এলাকার মশার ছবি থেকেই আমরা ওই এলাকার মশার ধরন বুঝতে পারব। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই অ্যাপ কার্যকর হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিপসম ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন একসঙ্গে আলাদা প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

মেয়র বলেন, এডিস মশা হয় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে। আমরা চা খেয়ে তার কাপগুলো ফেলে দিই, দই খেয়ে মগটা ফেলে দিই, পুরনো কমোড বাড়ির ছাদে ফেলে রাখি। এগুলোতে জমা পানি থেকেই তো এডিস মশা জন্ম নেয়। এগুলো তো আমাদেরই সচেতন হয়ে দূর করতে হবে।