শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সঠিক নিয়মে লার্ভিসাইডিং করলে মশা নিয়ন্ত্রণ হবেই

-মো. খলিলুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সঠিক নিয়মে লার্ভিসাইডিং করলে মশা নিয়ন্ত্রণ হবেই

সরকারের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কীটতত্ত্ববিদ মো. খলিলুর রহমান বলেছেন, সঠিক নিয়মে সঠিক স্থানে লার্ভিসাইডিং করলে মশা নিয়ন্ত্রণ হবেই। ঢাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ড্রেনের ফাঁক দিয়ে নজেল ঢুকিয়ে আবর্জনায় ওষুধ ¯েপ্র করতে দেখা যায়। কোথাও একটু কাদা দেখলেও ¯েপ্র করছে। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের কায়দাতেই এডিস নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল। এতে পরিশ্রম আর ওষুধের অপচয় ছাড়া কিছুই হয় না। ড্রেনের নোংরা পানিতে তো এডিস মশা ডিম পাড়ে না।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচিতে ময়মনসিংহ, শেরপুরের মতো জায়গায়- যেখানে টিলা আছে, পাহাড় আছে, বর্ডার আছে, সেখানেও আমরা ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছি। খাগড়াছড়ির মতো পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছি। যেখানেই রোগী ধরা পড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে আমার কর্মী ছুটে গেছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, আশপাশে মশার ওষুধ দিয়েছে। প্রতিটা নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নির্ধারিত কর্মী প্রতিদিন ডোর টু ডোর ভিজিট করেছে। কোনো রোগী জীবাণুর বাহক হিসেবে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কি না তা নজরদারি করেছে। শুধু এখানে ওখানে ফগিং করে তো মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। যেখানে এডিস মশা বংশবিস্তার করে, সেখানে ওষুধ দিতে হবে। লোকাল সোসাইটিকে ইনভলব করতে হবে। এখানে বড়-সড় কিছু সোসাইটি ছাড়া সিটি করপোরেশন মহল্লার কোনো সোসাইটির সঙ্গে মিটিং করেছে বলে আমার জানা নেই। আর তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না আসা পর্যন্ত এডিস মশার প্রজনন প্রাকৃতিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে না। তিনি বলেন, অক্টোবর-নভেম্বর এলে পানির ঘনত্ব বাড়ে, ডিম পাড়ার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে কিউলেক্স মশার বিস্তার বাড়ে। কিউলেক্স মশা পছন্দ করে নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানি। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় যেহেতু এটা বেড়ে যাচ্ছে, নর্দমা ও খালগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কিউলেক্স মশা এখন বাড়বে। মশার প্রজননস্থলে লার্ভিসাইডিং এখনো কার্যকর। কাজ না করলে কীটতত্ত্ববিদ দিয়ে কীটনাশক পরীক্ষা করে নিতে হবে। আমার বিশ্বাস, সঠিক নিয়মে সঠিক স্থানে লার্ভিসাইডিং করলে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ হবেই। আর এডিস মশার ক্ষেত্রে জনগণকে সম্পৃক্ত করে মশার প্রজননস্থল কমিয়ে ফেলতে হবে। এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তি ও সোসাইটির দায় আছে। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের পুরো দায় সিটি করপোরেশনের। কারণ খাল, ডোবা, নালা, নর্দমার মালিক সিটি করপোরেশন। সাধারণ মানুষ গিয়ে এগুলো পরিষ্কার করবে না।

সর্বশেষ খবর