শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিলেট থেকে আরও ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সারা দেশে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট থেকে আরও ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সারা দেশে

সিলেটের সেই পরিত্যক্ত কূপ থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)-এর মালিকানাধীন কৈলাসটিলার ২ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। ওই কূপ থেকে প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সারা দেশে সরবরাহ হচ্ছে। কূপটিতে ৫৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানায়, গ্যাসের সঙ্গে এই কূপ থেকে উপজাত হিসেবে দৈনিক ৭০ ব্যারেল কনডেনস্টে পাওয়া যাবে। যা প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা হবে।

এসজিএফএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আবদুল জলিল প্রামাণিক জানান, কূপটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে সারা দেশে সরবরাহ করা হবে। কূপটির একাধিক লেয়ারে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপটিতে ৫৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কূপটির ওয়ার্কওভারে প্রায় ৭১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। পুরো ব্যয় নির্বাহ করছে এসজিএফএল।

জানা গেছে, বর্তমান        বাজার বিবেচনায় ওই কূপে উত্তোলনযোগ্য ৫৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মূল্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর এলএনজির বাজার বিবেচনায় ওই গ্যাসের মূল্য ৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, দেশের অভ্যন্তরে জ্বালানি অনুসন্ধানে জোর দিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান চলছে। এর অংশ হিসেবে এসজিএফএলের মালিকানাধীন গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে তিনটি কূপ খননের কাজ শেষ করে গত বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন শুরু হয়। সর্বশেষ কৈলাসটিলার ২ নম্বর কূপের নতুন স্তর হতে বুধবার থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। উৎপাদনে যাওয়া গ্যাসকূপ চারটি হচ্ছে- সিলেট-৮, কৈলাসটিলা-২ ও ৭ এবং বিয়ানীবাজার-১। কূপ চারটি থেকে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে এসজিএফএলের মালিকানাধীন ১৩টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে সরকার দেশের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনর্খননের উদ্যোগ নেয়। ২০২৫ সালের মধ্যে কূপগুলোর খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। অনুসন্ধান ও খননকাজ শেষে কূপগুলো থেকে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর