রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের পরিবেশ : প্রত্যাশা, বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে সমাজের বিশিষ্টজনরা বলেন, দেশের মানুষ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে। তারা মনে করেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা তৈরি না হলে দেশের জনগণ সাংঘর্ষিক ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে চলে যাবে।

গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বেসরকারি সংস্থা ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্টে’র ‘ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা প্রকল্পের আওতায় এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন। সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ, আদিবাসী সঞ্জীব দ্রং। বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা প্রকল্পে’র সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা একটা ইউনিক নির্বাচন দেখতে পাচ্ছি। যেমন খুশি তেমন নির্বাচন আর কি! আমরা এখন ঘোরতর সংকটে আছি। অনেকেই এটি বুঝছেন। ১০০ বছরের পুরনো মীমাংসিত বিষয় নিয়ে আমাদের এখনো কথা বলতে হচ্ছে। নির্বাচন হয়তো করে ফেলবে, কিন্তু নির্বাচনের পর কী হবে এটি নিয়ে আমি সন্দিহান। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, জানুয়ারিতে আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীরা চাইলেও নির্বাচন করতে পারবে না। কারণ তাদের সব নেতাই এখন জেলে। ইতোমধ্যে অনেকেই আদালত কর্তৃক সাজা পেয়েছেন, আরও অনেকে পাবেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, একতরফা নির্বাচনই আমাদের নিয়তি। শারমীন মুরশিদ বলেন, আমরা একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। এর থেকে আমাদের বের হতে হবে। বের হওয়ার জন্য আমরা নাগরিক সমাজ কী করতে পারি সেটির ওপরই নির্ভর করবে জাতির অস্তিত্ব¡। রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো সময় সংলাপ হতে হবে। সংলাপের সময় শেষ হওয়া মানে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটা। আমাদের হতাশ হলে হবে না। দিলীপ কুমার বলেন, আমরা একটি একতরফা ও সহিংসতাপূর্ণ নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছি। রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে যদি সমঝোতা না হয়, তবে জাতিগতভাবে আমরা চরম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হতে পারি, দেশ চলে যেতে পারে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। যা কারোরই কাম্য নয়।

সর্বশেষ খবর