বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শ্রীমঙ্গলে ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গলে ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ক্যাপসিকামের চাষে সফল হয়েছেন রায়হান। উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়ন খলিলপুর গ্রামের কৃষক রায়হান আহম্মেদ এবার প্রথম ক্যাপসিকাম চাষ করেন। তিনি ৫ শতক জমিতে সুইট বিউটি জাতের বীজ রোপণ করেন। আর প্রথমবার চাষেই তিনি সফলতা পান। তার জমিতে প্রায় ৩০০ গাছে ক্যাসপিকাম ধরেছে। এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতার গাছে গাছে ঝুলছে সবুজ ক্যাপসিকাম। ক্যাসপিকাম চাষের জন্য তিনি প্রথমে একটি গ্রিন হাউস নির্মাণ করেন। গ্রিন হাউসের চারদিকে নেট ও ওপরে দেন পলিথিন। ভিতরে প্রবেশের জন্য রাখেন একটি দরজা। সেপ্টেম্বর মাসে জমিতে বীজ রোপণ করেন। রোপণের ১০ দিন পর চারা গজায়। চারা বেড়ে উঠতে ব্যবহার করেন জৈব সার ও জৈব কীটনাশক। নভেম্বরের প্রথম দিকে গাছে ফল আসতে শুরু করে। জানা যায়, উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের সুইট বিউটি ক্যাপসিকামের বীজ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বপন করা যায়। গাছ ঝোপানো হয়। ফল ধরে গিটে গিটে। প্রতিটি ফলের ওজন হয় ১৫০-২০০ গ্রাম। ফল আকর্ষণীয় সবুজ রঙয়ের হয়। আর পাকলে লাল বর্ণ ধারণ করে। একর প্রতি ফলন হয় ৭-৮ টন। কৃষক রায়হান আহম্মেদ জানান, বৃষ্টি, তাপমাত্রা, আদ্রতা ধরে রাখার জন্য তিনি গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এ পদ্ধতিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে খুব সহজে রক্ষা করা যায়। জমি তৈরি থেকে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে গাছে প্রায় ৫ শতাধিক ক্যাপসিকাম রয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকে ফসল তোলা শুরু করবেন। প্রতি কেজি বিক্রি হবে ১৫০-২০০ টাকা করে। এতে তার অনেক লাভ হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুকুর রহমান বলেন, এখানকার মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযোগী। ফলন ভালো হয়। এটি একটি লাভজনক ফসল। ব্যাপক পরিসরে চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর