সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনা ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে চার শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। তারা হলেন- আবুল হাসনাত কবির, গোলাম রাব্বী, জাহাঙ্গীর কবির ও কাজী সাইফুল হক। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অপ্রকাশিত বই প্রকাশসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আসছিল কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি। তারা ফেসবুক আইডি, ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল। এসব ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেইজে চলমান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিভিন্ন তথ্য প্রচার করা হতো। এমন অভিযোগে আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সহকারী সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। ডিবি প্রধান হারুন বলেন, গ্রেফতার আবুল হাসনাত কবির অনলাইন ও অফলাইনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের গণিত ক্লাস নিতেন। গণিত শিক্ষা বিষয়ক তার ফেসবুক পেজ, গ্রুপ এবং ইউটিউব চ্যানেল আছে। তিনি তার এসব পেজ এবং গ্রুপগুলোতে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য এবং এনসিটিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ডিং বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করেন। আরেক গণিত শিক্ষক গোলাম রাব্বী স্কুল শিক্ষার্থীদের গণিত পড়াতেন। তারা দুজনেই বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনলাইনে গ্রুপ খুলে নানাভাবে সমালোচনা করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছেন। কাজী সাইফুল হক ও জাহাঙ্গীর কবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা ও শহীদ মিনারে মানববন্ধনের আয়োজন করে। বর্তমানে শিক্ষা পাঠ্যক্রম নিয়ে গুজব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, সঠিকভাবে না জেনে নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে বিভ্রান্ত না হওয়া এবং ব্যক্তিগত কোনো মতামত প্রচার না করা উচিত। এ ছাড়া শিক্ষা পাঠ্যক্রম নিয়ে আপত্তিকর কোনো পোস্ট বা কার্যক্রম দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার অনুরোধ জানান তিনি।