শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ঝালকাঠি জেলা বিএনপি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীরউত্তম হঠাৎ করে জাতীয় সংসদের ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় আসন এলাকায় বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। শাহজাহান ওমর এতদিন ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।

তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন- এটা গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অন্যদিকে যেন আকাশ থেকে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কারণ এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া বজলুল হক হারুনকে বাদ দিয়ে ওমরকে আনা হয়েছে। রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানায়, তারা ওমরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন হুঁশিয়ারি দেন যে, শাহজাহান ওমরের পক্ষে কোনো নেতা-কর্মী প্রচারণা চালালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এক ভিডিও বার্তায় ঝালকাঠিতে শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শাহজাহান ওমরকে অভিনন্দন জানানো হয়নি। এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম সরফরাজ গতকাল বিকালে বলেন, আদর্শিক কারণে আমরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না। শাহজাহান ওমর বীরউত্তম যদি দলের আদর্শ মেনে নির্বাচনে আসেন তাহলে আমরা তার সঙ্গে থাকব। আলোচনায় থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির বলেন, শাহজাহান ওমরকে রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ার জনগণ প্রত্যাখ্যান করবেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রথমে নৌকা প্রতীক পাওয়া বজলুল হক হারুন বলেন, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর। দলের মনোনয়ন নিয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য ও একবার মন্ত্রী হয়েছেন। ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি যে কটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় ২০০৮ বাদে তার সবকটিতে দলের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন। সবশেষ কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড়ে তার বাসভবন বীরউত্তম ভবনে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ছিল। তিনি দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন এখানে বসে। নেতা-কর্মীদের পদচারণে ভবনটি মুখর থাকত। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ফেস্টুন পোস্টারে সাজানো ছিল ভবনটি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকালে পাল্টে যায় সব কিছু। হঠাৎ করে বীরউত্তম ভবন থেকে নামিয়ে ফেলা হয় বিএনপির সাইনবোর্ড ও ফেস্টুন। ধারণা করা হচ্ছে, এখন থেকে এই ভবনটি হবে শাহজাহান ওমরের নির্বাচনি কার্যালয়।

 

সর্বশেষ খবর