সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অগ্নিসন্ত্রাসের বীভৎস কাহিনি শোনালেন হতাহতের স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আমাদের মাথার ছায়া নেই ১০ বছর। ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর আমার বাবার গাড়ির ওপর পেট্রল বোমা মারা হয়। বাবাকে হত্যা করা হয়। অথচ হত্যাকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ মানবতার কথা বলে বিএনপি, আমাদের মানবতার বিচার কে করবে?’ অগ্নিদগ্ধে নিহত আলমগীর হোসেন শিমুলের সন্তান জাফর হোসেন এ প্রশ্ন রাখেন। গতকাল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক মানুষ পোড়ানোর প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে’ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আরেক ভিকটিম লিটন মিয়া বলেন, ‘সেদিন ছিল শুক্রবার। চানখারপুল থেকে লেগুনায় ওঠার পর ককটেল বিস্ফোরণে ভিতরে থাকা ১৩ জন আহত হই। গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আমরা তো রাজনীতি করি না, আমাদের কী অপরাধ ছিল? আমাদের দোষ, আমরা খেটে খাই। এখন পর্যন্ত এ ঘটনার বিচার হয়নি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।’ পেট্রল বোমায় স্বামী-সন্তান হারানো মাশরুহা বেগম বলেন, ‘২০১৫ সালে স্বামী ও কোলের শিশু মাইশা নাহিয়ানকে নিয়ে বাসে যাচ্ছিলাম। পেট্রল বোমায় চলন্ত বাসে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। আমার স্বামী ধাক্কা দিয়ে আমাকে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। কিন্তু চোখের সামনে স্বামী ও সন্তানকে হারাই। আমার বেঁচে থাকা দুঃস্বপ্নের মতো, এটাকে কি বেঁচে থাকা বলে? এভাবে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারবেন না, এভাবে পরিবারকে পঙ্গু করে মারবেন না।’ কেবল মাশরুহা বা লিটন মিয়া নন, এ মানববন্ধনে জমির আলী, জাহেদুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খাদিজা নাসরীন, নিহত নাহিদের মা রুনী বেগম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন। তাদের সবার প্রশ্ন- বিএনপির এই সহিংসতার মধ্যে কারা মানবিকতা দেখতে পায়?

 

 

 

সর্বশেষ খবর