সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

লিবিয়ায় আটকে পড়া ২৬৩ বাংলাদেশি ফিরবেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

লিবিয়ায় আটকে পড়া ২৬৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তারা ঢাকা পৌঁছাবেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা ১৪৩ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে গত ২৮ নভেম্বর এবং ১১০ জনকে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তারা ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান। এ সময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৫ হাজার ৮৯৬ টাকা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে।

 বাংলাদেশ মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত সময়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ সুবিধা পাবে, সে সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আগামী ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানার রাজধানী আক্রায় অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানান বিকল্প মুখপাত্র। তিনি জানান, শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় কৌশলগত যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ, শান্তিরক্ষীদের মানসিক সুস্বাস্থ্য, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন। এ ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও বিভিন্ন সাইড-ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচন-সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটা মন্ত্রণালয় স্বপ্রণোদিত হয়ে করছে কি না এবং এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে বিকল্প মুখপাত্র বলেন, ‘তথ্য শেয়ার করা, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। আপনি নিজস্ব ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেন।’ গত শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নির্বাচন-সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। তাহলে মন্ত্রণালয় ইসির পিআরও হিসেবে কাজ করা হলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে তথ্য শেয়ার করার পেছনে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে, আমাদের একটা বড় অডিয়েন্স তাদের দ্রুত রিচ আউট করা।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর